রোমাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

লা লিগায় সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোমার বিপক্ষে প্রথমার্ধের বাজে পারফরম্যান্সে জেগেছিল নতুন শঙ্কা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে নিজেদের খুঁজে পায় দলটি। ইতালিয়ান ক্লাবটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সান্তিয়াগো সোলারির দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2018, 09:54 PM
Updated : 27 Nov 2018, 11:50 PM

রোমার মাঠে মঙ্গলবার রাতে ‘জি’ গ্রুপে ২-০ গোলে জেতে রিয়াল। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি।  

আগের ম্যাচে চেক রিপাবলিকের ভিক্তোরিয়া প্লজেনের কাছে রুশ ক্লাব সিএসকেএ মস্কো হেরে যাওয়ায় নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যায় রোমা ও রিয়ালের। তবে গ্রুপ সেরার লড়াইটা তখনও ছিল বাকি।

সে লড়াইয়ে রিয়ালের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স ছিল ভীষণ হতাশাজনক। অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলেও তার সবই ছিল ধারহীন। অন্যদিকে, বিরতির আগে বেশ কবার অতিথিদের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় রোমা।

৩৩তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগটিও পায় রোমা। কিন্তু গোলমুখে বল পেয়ে শট নিতে পারেননি মিডফিল্ডার উন্দের। কর্নারের বিনিময়ে দলকে বাঁচান রাফায়েল ভারানে। পরের মিনিটে সার্বিয়ান ডিফেন্ডার আলেক্সান্দার কোলারভের জোরালো শট শেষ মুহূর্তে বাঁক খেয়ে পোস্ট ঘেঁষে চলে গেলে ফের বেঁচে যায় শিরোপাধারীরা।

বিরতির ঠিক আগে সেরা সুযোগটি পায় স্বাগতিকরা। বাঁ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল গোলমুখে ফাঁকায় পেয়েছিলেন উন্দের। গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া আগেই অন্যপ্রান্তে ছুটে যাওয়ায় ছিল না কোনো বাধাও। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারলেন তুর্কি ফুটবলার।

দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন বেল। রোমা গোলরক্ষকের উঁচু করে বাড়ানো বলে ফেদেরিকো ফাসিওর দুর্বল হেডে উল্টো পেয়ে যান ওয়েলস ফরোয়ার্ড। ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের নিচু শটে বল ঠিকানায় পাঠান তিনি।

পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন বেল। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার বরাবর শট নিয়ে বসেন তিনি।

দ্বিতীয় গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৫৯তম মিনিটে বেলের দূরের পোস্টে উঁচু করে বাড়ানো বলে  হেড করেন করিম বেনজেমা। আর গোলমুখে পাওয়া বল জালে পাঠাতে আলতো একটা টোকারই দরকার ছিল। কোনো ভুল করেননি লুকাস ভাসকেস।

৬৭তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর ভালো সুযোগ পেয়েছিল রোমা। কোর্তোয়ার ভুলে বল পেয়েছিলেন উন্দের। কিন্তু তিনি তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে আর লড়াইয়ে ফেরা হয়নি ইতালিয়ান ক্লাবটির।

পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের পয়েন্ট ১২। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রোমা।

মস্কোর মাঠে ২-১ গোলে জেতা প্লজেন ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে সিএসকেএ মস্কো।

‘ই’ গ্রুপ থেকে সেরা ষোলো নিশ্চিত হয়ে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ ও আয়াক্সের। মঙ্গলবার আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় আরিয়েন রবেন ও রবের্ত লেভানদফস্কির জোড়া গোলে ৫-১ ব্যবধানে বেনফিকাকে হারানো বায়ার্ন ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এইকে অ্যাথেন্সের মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরা আয়াক্স ১১ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।  

তৃতীয় স্থানে থাকা পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার পয়েন্ট ৪।

‘এফ’ গ্রুপে লিওঁর মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে শেষ ষোলোয় উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ফরাসি ক্লাব লিওঁ।

জার্মান ক্লাব হফেনহাইমের মাঠে ৩-২ গোলে জেতা ইউক্রেনের শাখতার দোনেৎস্ক ৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। হফেনহাইমের পয়েন্ট ৩।

‘এইচ’ গ্রুপে মারিও মানজুকিচের একমাত্র গোলে ভালেন্সিয়াকে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করা ইউভেন্তসের পয়েন্ট ১২।

আর মারোয়ান ফেলাইনির যোগ করা সময়ের একমাত্র গোলে ইয়াং বয়েজকে হারিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।

৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে স্পেনের ক্লাব ভালেন্সিয়া।