ঘরের মাঠে হওয়া ওই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে হেরে গেলেও শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিততে পেরেছিল আর্জেন্টিনা। ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দলের ৩-১ ব্যবধানের জয়ে শেষ গোলটি করেছিলেন বের্তোনি।
এবারের আসরে আর্জেন্টিনার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে সাবেক রাইট উইঙ্গার বলেন, “বাজেভাবে শুরু করার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে এমন অনেক দল আছে। (১৯৭৮ বিশ্বকাপ) আমরা ইতালির কাছে হেরে গিয়েছিলাম। দ্রুতই আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।”
“তাই আমার বিশ্বাস আছে এবং আমি আশা করি, আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হব। তবে আমাদের উন্নতি করবে হবে।”
এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শুরুটা আশানুরূপ হয়নি। আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করার পর ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হারে তাদের নকআউট পর্বে ওঠা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে পরের রাউন্ডের টিকেট পায় হোর্হে সাম্পাওলির দল।
গ্রুপ পর্বের সমস্যাটা সামনের ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টিনাকে কাটিয়ে ওঠার তাগিদ দিলেন বের্তোনি।
“দল হিসেবে আমরা এখনও এক হতে পারিনি। এখন পর্যন্ত অল্প কিছু মুহূর্তে আমরা একজোট হতে পেরেছি, যেমন নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রথম আধা ঘণ্টা যখন এভার বানেগা মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করছিল আর মেসির কিছু ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের মুহূর্ত।”
“আমরা ছিটকে যাওয়া থেকে তিন-চার মিনিট দূরে ছিলাম। ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল। এখন আমরা আমাদের মানসিকতাটা বদলাতে পারব।”
“প্রতিযোগিতার মাঝামাঝি সময়ে একটা দল গড়ে তোলা অসম্ভব। তবে আমি খুব খুশি, কারণ আর্জেন্টিনা কোয়ালিফাই করেছে। আমার বিশ্বাস, আমরা ফাইনালে যাব।”