সারনস্কে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। প্রথমার্ধে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন রিকার্দো কারেসমা। ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান করিম আনসারিফার্দ।
মরদোভিয়া অ্যারেনায় মঙ্গলবার শুরুতে ভুগেছে ইরানের রক্ষণ। গোলরক্ষকের হাত থেকে ফস্কেছে বল। তাড়াহুড়া করে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বিপজ্জনক জায়গায় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বল তুলে দেনে ডিফেন্ডাররা। তবে তার সুযোগ কাজে লাগোতে পারেনি পর্তুগাল।
দশম মিনিটে ডি-বক্সে আসা বল অযথা বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ডিফেন্ডার সাইদ এজাতোলাহি তালগোল পাকান, বল পেয়ে যান মারিও জোয়াও। তবে তার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে বেঁচে যায় ইরান।
পায়ে অনেক বেশি সময় বল রাখা পর্তুগাল ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। আক্রমণে গতির অভাব খুব ভুগিয়েছে তাদের। ডি-বক্সে রোনালদোকে লক্ষ্য করে আসা প্রায় প্রতিটি বল কোনো না কোনোভাবে ঠেকিয়ে দেয় এশিয়ার দলটি।
৩৪তম মিনিটে প্রথমার্ধে নিজেদের সবচেয়ে ভালো সুযোগ পায় ইরান। জাহানবখশের ফ্রি-কিকে গোলরক্ষক বরাবর হেড নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন এজাতোলাহি।
দারুণ এক গোলে ৪৫তম মিনিটে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন কারেসমা। সেদ্রিক সোয়ারেসের সঙ্গে ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ খেলে একটু এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ আসে আগের দুই ম্যাচে ৪ গোল করা রোনালদোর সামনে। কিন্তু পর্তুগিজ অধিনায়কের পেনাল্টি বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আলি বেইরানভান্দ। রোনালদোকেই ফাউল করা হলে ভিডিও ফুটেজ দেখে স্পট কিকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি।
পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারা রোনালদো হঠাৎ করেই যেন মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। রেফারি ভিডিও রিপ্লে দেখে ৮৩তম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডকে হলুদ কার্ড দেখান। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে বুকে আঘাত করায় লাল কার্ডও দেখতে পারতেন পাঁচবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়।
গোলের জন্য মরিয়া ইরান শেষের দিকে আক্রমণে শক্তি বাড়ায়। তা কাজেও লেগে যায়। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় ইরান। ডি-বক্সে সেদ্রিকের হ্যান্ডবলের ভিডিও ফুটেজ দেখে স্পট কিকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি। বদলি হিসেবে নামা আনসারিফার্দের শট ফেরানোর কোনো সুযোগই ছিল না গোলরক্ষকের।
পরের মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ এসেছিল মেহদি তারেমির সামনে। খুব কাছে থেকে এই ফরোয়ার্ড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট। গোলটি হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেত ইরান। বিদায় নিত ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল।
পয়েন্ট আর গোল পার্থক্য সমান হলেও স্পেনের চেয়ে গোল কম করায় রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে গেছে পর্তুগাল।
আগামী শনিবার শেষ ষোলোতে ‘এ’ গ্রুপ সেরা উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলবে পর্তুগাল। পরদিন ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ রাশিয়ার বিপক্ষে খেলবে স্পেন।
‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিল:
ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | পক্ষে গোল | বিপক্ষে গোল | গোল পার্থক্য | পয়েন্ট | ||
স্পেন | ৩ | ১ | ২ | ০ | ৬ | ৫ | ১ | ৫ | |
পর্তুগাল | ৩ | ১ | ২ | ০ | ৫ | ৪ | ১ | ৫ | |
ইরান | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ২ | ০ | ৪ | |
মরক্কো | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৪ | -২ | ১ |