বায়ার্নের কাছে হেরেও গ্রুপ সেরা পিএসজি

আগের ম্যাচে ফরাসি লিগে হারের স্বাদ পাওয়া পিএসজি হেরেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও। প্যারিসে পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠে সহজেই জিতেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2017, 09:47 PM
Updated : 5 Dec 2017, 10:38 PM

গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৩-১ গোলে পিএসজিকে হারিয়েছে বায়ার্ন। রবের্ত লেভানদোভস্কি এগিয়ে নেওয়ার পর জোড়া গোল করেন কোরোঁতাঁ তোলিসো। মাঝে ব্যবধান কমান কিলিয়ান এমবাপে।

আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়া দুই দলের লড়াইয়ে জিতে পয়েন্টের হিসাবে পিএসজিকে (১৫) ধরে ফেলল বায়ার্ন (১৫)। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় ‘বি’ গ্রুপের সেরা পিএসজি।

দুই দলের শেষ দেখার পর অনেক বদলেছে বায়ার্ন। ওই ম্যাচে ৩-০ গোলে হারের পর চাকরি হারান দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। অবসর ভেঙে ফের বায়ার্নের কোচের দায়িত্ব নেন ইয়ুপ হাইনকেস। তারপর থেকে যেন উড়ছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের শেষ ১১ ম্যাচের ১০টিতেই জিতে মুখোমুখি হয় পিএসজির।

উড়তে থাকা ফরাসি জায়ান্টদের মাটিতে নামায় স্ত্রাসবুর। মৌসুমে তাদের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দেয় ফরাসি লিগের নিচের সারির দলটি। সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই আবার হারল উনাই এমেরির শিষ্যরা।  

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে প্রতি আক্রমণ থেকে অষ্টম মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন লেভানদোভস্কি। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এই স্ট্রাইকারের ২০তম গোলে দারুণ অবদান হামেস রদ্রিগেসের।

রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে বায়ার্নে খেলতে আসা কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার বাইলাইন থেকে কাট ব্যাকে বল দেন দাভিদ আলবাকে। তার হেড খুঁজে পায় অরক্ষিত লেভানদোভস্কি। বাকিটুকু সহজেই সারেন পোলিশ তারকা।

পিএসজির আক্রমণ ত্রয়ীর এদিনসন কাভানি এদিন ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। গতি দিয়ে ভীতি ছড়িয়েছেন এমবাপে। নেইমারকে দেখা যায়নি সেরা ছন্দে।

ব্রাজিল অধিনায়কের ফ্রি-কিক থেকে ২৩তম মিনিটে গোল পরিশোধের খুব কাছে যায় পিএসজি। সেবার একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি নেইমারের শট।  

৩৪তম মিনিটে নেইমারের দারুণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় সভেন উলরিখের নৈপুণ্যে। সেবার ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন এই গোলরক্ষক। ৪৩তম মিনিটে আবার নেইমারকে হতাশ করেন তিনি।

পিএসজির দুই প্রচেষ্টার মাঝে ৩৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান তোলিসো। এই গোলেও দারুণ অবদান ছিল রদ্রিগেসের। ডি-বক্সে তার অসাধারণ ক্রসে ফরাসি ফরোয়ার্ডের দারুণ হেড জালে জড়ায়।

গোলের জন্য মরিয়া পিএসজি ব্যবধান কমায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। ৫০তম মিনিটে কাভানির থেকে বল পেয়ে খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে।

১০ মিনিট পর সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন মার্কো ভেরাত্তি। অরক্ষিত ফরোয়ার্ড বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর শট নেন।

প্রতি আক্রমণ থেকে ৬৯তম মিনিটে আবার ব্যবধান বাড়ান তোলিসো। স্বদেশি ফরোয়ার্ড কোমানের কাছ থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে বল পাঠান তিনি। বাকি সময়ে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।  

আগেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া দুই দলের লড়াইয়ে সেল্টিককে ১-০ গোলে হারিয়েছে আন্ডারলেখট।