এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জেতা প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি গলফার তিনি। দেশের হয়ে গলফ বিশ্বকাপে তিনিই প্রথম। এবার দেশের প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেশসেরা এই গলফার জানালেন, প্রত্যাশার চাপটা নিতে চান না; উপভোগের মন্ত্র জপেই রিও দে জেনেইরোতে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য তার।
Published : 12 Jul 2016, 12:12 AM
প্রশ্ন: সরাসরি অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পেলেন। তারও আবার দেশের প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে। নিশ্চয় স্বপ্ন পূরণের আনন্দে ভাসছেন?
সিদ্দিকুর: (হাসি) অবশ্যই ভালো লাগছে। এটা আসলেই অনেক আনন্দের বিষয়। বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আমি অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। এটা অবশ্যই গর্বের। অতীতে বাংলাদেশের কেউ ফুল কার্ড (সরাসরি খেলার সুযোগ) পায়নি; এ কারণে আমি আরও বেশি আবেগাপ্লুত।
প্রশ্ন: কিন্তু অতীত বলে অলিম্পিক মানে বাংলাদেশের অ্যাথলেটদের জন্য শুধু অভিজ্ঞতা নিতে যাওয়া।…
সিদ্দিকুর: বাংলাদেশের অন্য অ্যাথলেটদের মতো আমার ক্ষেত্রে হয়ত ব্যাপারটা ওই রকম হবে না। আশা করি, আমি অলিম্পিকে গলফ উপভোগ করতে পারব।
প্রশ্ন: এরকম মনে হওয়ার কারণ?
সিদ্দিকুর: আমি যেহেতু গলফ বিশ্বকাপ, এশিয়ান ট্যুর-ওই পর্যায়ে খেলে এসেছি; ফলে অভিজ্ঞতাটা আছে। এ কারণেই মনে হচ্ছে, আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা ওরকম হবে না।
প্রশ্ন: বড় পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা যেহেতু আছে, সেহেতু অলিম্পিকে পদক পাওয়ার আশাও নিশ্চয় আছে?
প্রশ্ন: ২০১০ সালে ব্রুনাই ওপেন জিতলেন; তিন বছর পর হিরো ইন্ডিয়ান ওপেন। কিন্তু এরপর থেকে সাফল্য তেমন আসছে না। সম্প্রতি মরিশাস ওপেনে সম্ভাবনা জাগিয়েও শিরোপার নাগাল পাননি। অলিম্পিক নিয়ে ভাবনা বা প্রস্তুতিটা তাহলে কেমন?
সিদ্দিকুর: প্রস্তুতি অনেক ভালো। এ বছর যে টুর্নামেন্টগুলো খেলেছি, শিরোপা জিতিনি কিন্তু যেভাবে খেলেছি, যতটুকু পেয়েছি, আমি বলব ভালো অর্জন ছিল। যার কারণেই আমি কিন্তু অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পেয়েছি। আসলে এতটা আশা করিনি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে অনেক দিয়েছেন। আমি শতভাগ নিষ্ঠা দিয়ে আমার চেষ্টাটা করে যাচ্ছি; আগামীতে করে যাব। বাকি যা হওয়ার হবে। আমি সেটা মেনে নেব।
প্রশ্ন: লম্বা সময় ধরে পিঠের চোটে ভুগেছেন। এখন কি অবস্থা?
সিদ্দিকুর: চোটের কারণে কুইন্স কাপের গত আসরে খেলতে পারিনি। তবে এখন পিঠের অবস্থা অনেক ভালো। পুরোপুরি অনুশীলন করতে পারছি। বেশ ভালো।
প্রশ্ন: এ বছর এশিয়ান ট্যুরের ১০টি টুর্নামেন্ট খেললেন। বলার মতো সাফল্য ঘরোয়ার টুর্নামেন্টগুলোতে। তাইওয়ানের আসরেও নিচের দিকে ছিলেন। সে সময় কি অলিম্পিক নিয়ে দুশ্চিন্তায় পেয়ে বসেছিল?
প্রশ্ন: রিও দে জেনেইরোতে অলিম্পিক শুরু ৫ অগাস্ট। আপনি রওনা দিচ্ছেন কবে?
সিদ্দিকুর: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২ অগাস্ট।
প্রশ্ন: একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। স্ত্রীকে ক্যাডি বানিয়ে সঙ্গী করে রেখেছেন অনেক দিন। অলিম্পিকেও কি?
সিদ্দিকুর: (হাসি) না, না। আসলে আগে থেকে নিশ্চয়তা ছিল না। আমিও পেছনের দিকে ছিলাম। তারপরও আমি চেয়েছিলাম কিন্তু এখন আর কার্ড করা সম্ভব নয়। আমি অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু হয় নাই।