আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের চতুর্থ ম্যাচেই এই অর্জন ধরা দিল গনসালো রামোসের।
Published : 07 Dec 2022, 01:49 AM
আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবার শুরুর একাদশে নামার উপলক্ষ আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সে রাঙালেন গনসালো রামোস। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন পর্তুগালের তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
লুসাইল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমার্ধে একটির পর দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন রামোস।
দ্বিতীয় পর্তুগিজ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে হ্যাটট্রিক করলেন ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ১৯৬৬ আসরে কোয়ার্টার-ফাইনালে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ৪ গোল করেছিলেন গ্রেট ইউজেবিও।
সব মিলিয়ে দেশটির চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন রামোস। ইউজেবিওর পর ২০০২ আসরে গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে পাওলেতা ও ২০১৮ আসরে গ্রুপ পর্বে স্পেনের বিপক্ষে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এই কৃতিত্ব দেখান।
রামোসের নাম উঠে গেছে আরও কিছু পরিসংখ্যানের পাতায়। ২০০২ সালে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথমবার শুরুর একাদশে নেমেই হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
৩২ বছর পর বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে কেউ হ্যাটট্রিক করলেন। সবশেষ ১৯৯০ আসরে শেষ ষোলোয় কোস্টা রিকার জালে তিনবার বল পাঠিয়েছিলেন চেকোস্লোভাকিয়ার স্কুরাভি।
রোনালদোর জায়গায় সুইসদের বিপক্ষে শুরুর একাদশে সুযোগ পাওয়া রামোসের জালের দেখা পেতে লাগে কেবল ১৭ মিনিট। গোলটাও ছিল দুর্দান্ত! বাঁ দিক থেকে জোয়াও ফেলিক্সের বাড়ানো বল ধরে সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সামলে দুরূহ কোণ থেকে বুলেট গতির শট নেন তিনি, কাছের পোস্ট ঘেঁষে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে ডান দিক থেকে দিয়োগো দালোতের পাস গোলমুখে পেয়ে টোকায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রামোস। আর ৬৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিকের আনন্দে মাতেন তিনি।
রামোস আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রেখেছেন এখনও এক মাস হয়নি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে গত ১৭ নভেম্বর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে দেশের হয়ে অভিষেক হয় তার।
প্রথম তিন ম্যাচে তার গোল ছিল একটি। এবার এক ম্যাচেই করলেন তিনটি, তাও আবার বিশ্ব মঞ্চে!