ইংলিশ ফুটবল
এই মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগে চারটি অ্যাসিস্ট করে ফেললেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক, আর কোনো গোলরক্ষকের এক আসরে দুটির বেশি অ্যাসিস্ট নেই।
Published : 12 Apr 2025, 10:21 PM
গোলরক্ষকের মূল কাজ গোলপোস্ট সামলানো। তবে সতীর্থদের গিয়ে গোল করানোতেও যে তারা কম যান না, তার বড় উদাহরণ এদেরসন। এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তার অ্যাসিস্ট হয়ে গেছে চারটি, অনেক আউটফিল্ড খেলোয়াড়ের চেয়েও যা বেশি। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে সব মিলিয়ে সাতটি অ্যাসিস্ট করে গোলরক্ষকদের মধ্যে তিনি আছেন চূড়ায়। এই ব্রাজিলিয়ানের এমন নৈপুণ্যে উচ্ছ্বসিত ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৩-২ ব্যবধানের দারুণ জয় তুলে নেয় সিটি। জেমস ম্যাকাটির করা দলের চতুর্থ গোলে অবদান রাখেন এদেরসন।
এক নজরে মাঠের অবস্থা বুঝে তিনি মাঝমাঠে খুঁজে নেন ম্যাকাটিকে। এরপর, প্রথম ছোঁয়ায় বল ধরে, দ্বিতীয় ছোঁয়ায় বক্সে ঢুকে এবং গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
চলতি মৌসুমে লিগে এর আগে ব্রেন্টফোর্ড, চেলসি ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে অ্যাসিস্ট করেছিলেন এদেরসন। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এক আসরে চারটি অ্যাসিস্ট করা একমাত্র গোলরক্ষক তিনিই। আর কোনো গোলরক্ষক এক আসরে দুটির বেশি অ্যাসিস্ট করতে পারেননি।
প্রিমিয়ার লিগে গোলরক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের তালিকায় তিনি চূড়ায় আছেন আগে থেকে। সেই রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করলেন ৩১ বছর বয়সী ফুটবলার (৭)।
পাঁচটি অ্যাসিস্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন পল রবিনসন। ডেভিড সিম্যান ও পেপে রেইনার অ্যাসিস্ট চারটি করে।
বেনফিকা থেকে ২০১৭ সালের জুনে সিটিতে যোগ দেন এদেরসন। প্যালেস ম্যাচের পর তাকে প্রশংসায় ভাসান কোচ গুয়ার্দিওলা।
“এটা (৭ অ্যাসিস্ট) অবিশ্বাস্য। স্ট্রাইকারদের জন্য অসাধারণ সব পাস দেয় সে।”
এদিন ম্যাচের শেষটা অবশ্য সুখকর হয়নি এদেরসনের। ৭১তম মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার চোট গুরুতর কি না, সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি গুয়ার্দিওলা।
“আমি জানি না। সে বল পাস করে বলেছিল যে, অস্বস্তি অনুভব করছে, আর চালিয়ে যেতে পারছে না।”