ইংলিশ ফুটবল
কঠিন এই সময়ে সমর্থকদের পাশে চান ম্যানচেস্টার সিটি কোচ।
Published : 03 Dec 2024, 09:20 PM
কোনো কিছুতেই যেন ভাগ্য বদলাতে পারছে না ম্যানচেস্টার সিটি। একের পর এক ম্যাচে হেরে চলেছে তারা। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে পিছিয়ে পড়েছে অনেক দূর। কঠিন এই সময়ে অবশ্য লিগ শিরোপা নিয়ে ভাবতেই চান না পেপ গুয়ার্দিওলা। সিটি কোচের এখন একটাই লক্ষ্য, দলকে কক্ষপথে ফেরানো।
প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ সাত আসরে ছয়বারই শিরোপা ঘরে তুলেছে সিটি। গত চার মৌসুমের তো টানা চ্যাম্পিয়ন তারাই। এবারও শুরুটা ভালোই হয়েছিল দলটির। কিন্তু হুট করে পথ হারিয়ে ফেলে তারা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ৭ ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি সিটি। লিভারপুলের মাঠে গত রোববার ২-০ গোলে হারে তারা। যা ছিল লিগে তাদের টানা চতুর্থ পরাজয়।
ওই হারে পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে সিটি। ১৩ রাউন্ড শেষে তাদের পয়েন্ট ২৩। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে পিছিয়ে আছে ১১ পয়েন্টে। দুই ও তিনে থাকা আর্সেনাল ও চেলসির সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান দুই।
কঠিন এই পরিস্থিতিতে মৌসুম শেষে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার স্বপ্ন দেখতে নারাজ গুয়ার্দিওলা। লিগ ম্যাচে বুধবার নটিংহ্যাম ফরেস্টের মুখোমুখি হবে সিটি। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলটির কোচ বললেন, আপাতত শীর্ষ চারে ফেরার লক্ষ্য তাদের।
“অতীতে কি ফলাফল পেয়েছি, সেটা ভেবে পড়ে থাকতে পারি না। বড় লক্ষ্য (শিরোপা) নিয়ে চিন্তা করা এখন আমাদের জন্য বড় ভুল হবে। যারা আমাদের কাছাকাছি (পয়েন্ট টেবিলে) আছে তাদের হারানোর চেষ্টা করতেই হবে, শীর্ষ চারের আশেপাশে থাকতে হবে… আমরা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব কারণ এটাই করার চেষ্টা করতে হবে।”
“আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দল থেকে খুব বেশি দূরে নেই। তবে খেলার ধরন, বক্সে কতটা ধারাবাহিক, এসব ভবিষ্যতে কী হতে পারে সে সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দেয়।”
দলের কঠিন এই সময়ে সমর্থকদের পাশে চেয়েছেন গুয়ার্দিওলা। তার বিশ্বাস, সমর্থন যুগিয়ে সিটিকে পথে ফিরতে সাহায্য করবেন দলটির ভক্তরা।
“তাদেরকে (সমর্থক) আমাদের প্রয়োজন, কারণ পরিস্থিতিটাই এমন। তারা সবসময়ই আমাদের পাশে ছিল এবং এবং এখনও সেই (আমাদের ওপর বিশ্বাস) অনুভূতি আছে।”
“তারা জানে, এই ছেলেরা গত এক দশকে কী করেছে। আমরা একসঙ্গে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি এবং জানি আমাদের এখন অবশ্যই তাদের সমর্থন দরকার। আমরা সবাই, বিশেষ করে খেলোয়াড়রা তো মানুষ এবং (দুর্দশা থেকে বেরুনোর) গতিপথ পরিবর্তনের জন্য সবকিছু দিতে প্রস্তুত।”