অনেকটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলেও জিতল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
Published : 19 Aug 2023, 10:35 PM
তৃতীয় মিনিটেই গোল হজম করে বসল লিভারপুল। ফের বোর্নমাউথের বিপক্ষে হারার শঙ্কাও যেন উঁকি দিল প্রবলভাবে। তবে লুইস দিয়াস, মোহামেদ সালাহ, দিয়েগো জটা আলো ছড়ালেন আক্রমণভাগে। শুরুর ধাক্কা দারুণভাবে সামলে নিয়ে, আধ ঘণ্টারও বেশি সময় দশ জন নিয়ে খেলেও কাঙিক্ষত জয় তুলে নিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার অ্যানফিল্ডে বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। অ্যান্টোনি সেমেনিওর গোলে পিছিয়ে পড়া ‘অলরেড’দের সমতায় ফেরান দিয়াস। পরে সালাহ ও জটা গড়ে দেন ম্যাচের ভাগ্য।
চলতি আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল লিভারপুল। চেলসির বিপক্ষে ১-১ ড্র দিয়ে লিগ শুরু করেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
নিজেদের মাঠে তৃতীয় মিনিটের ধাক্কায় কিছুটা এলেমেলো হয়ে যায় লিভারপুল। বক্সের বাইরে থেকে সেমেনিওর শট এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়ায়। গোলরক্ষক আলিসন তেমন কিছু বুঝে উঠতে পারেননি।
গুছিয়ে উঠতে লিভারপুলের সময় লেগে যায় বেশ খানিকটা। ত্রয়োদশ মিনিটে সালাহর ব্যাকপাস ধরে বক্সে ঢুকে কোনাকুণি শট নেন ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ড। কিন্তু আঙুলের টোকায় কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বোর্নমাউথ অধিনায়ক নেতো।
পাঁচ মিনিট পর বক্সে তাড়াহুড়ো করে নেওয়া শটে সুযোগ নষ্ট করেন দিয়াস ও দোমিনিক সোবোসলাই। দিয়াসের দুটি এবং সোবোসলাইয়ের একটি শট হয় ব্লকড।
লিভারপুল শিবিরে সমতার স্বস্তি ফেরে দিয়াসের দৃষ্টিনন্দন গোলে। জটার পাস এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় দিয়াসের কাছে। বুটের টোকায় কিছুটা উপরে তুলে নিখুঁত ভলিতে জাল খুঁজে নেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। আগের ম্যাচে দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন তিনি।
২৯তম মিনিটে দিয়াসের থ্রু পাস খুঁজে নেয় সালাহকে। কিন্তু তার প্রথম স্পর্শ জোরে হওয়ায় বল চলে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে।
৩৫তম মিনিটে জো রথওয়েল বক্সের ভেতরে সোবোসলাইকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন নেতো। পরে সালাহর স্পট কিক প্রথম প্রচেষ্টায় ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি শট আটকাতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান এই গোলরক্ষক। এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় লিভারপুল।
দ্বিতীয়ার্ধেও বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে থাকে লিভারপুল। ৫২তম মিনিটে কাছের পোস্টে শট নেন সালাহ, বলের লাইনে থাকা নেতো সহজেই আটকান। ছয় মিনিট পর আরেক ধাক্কায় দশ জনের দলে পরিণত হয় লিভারপুল। রায়ান ক্রিস্টিকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আলেক্সিস মাক আলিস্তের।
দলের শক্তি ক্ষয়ে গেলেও ভেঙে পড়েনি লিভারপুল, খেলতে থাকে গতিময় আক্রমণাত্মক ফুটবল। ৬১তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় তারা। সোবোসলাইয়ের নিচু শট নেতো ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সামনে থাকা জটা ফিরতি সুযোগ কাজে লাগান দারুণভাবে।
লিভারপুলের চাপে একটু পরই আত্মঘাতী হতে বসেছিল বোর্নমাউথ। জটার ক্রস ক্লিয়ার করতে পা বাড়িয়েছিলেন দলটির এক ডিফেন্ডার। সরাসরি গোলরক্ষক নেতোর গায়ে লেগে প্রতিহত হয়।
জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় শেষ দিকে আক্রমণের চেয়ে রক্ষণ জমাট রাখতে মনোযোগী হয় লিভারপুল। ৮৪তম মিনিটে সতীর্থের কাট ব্যাকে জাস্টিন ক্লুইভার্টের নেওয়া শট আটকে দেন আলিসন। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে হামেদ ত্রাওরের দূরের পোস্টে নেওয়া শটও ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান এই গোলরক্ষক।