গোল হজমের পর থেকে দলের খেলায় সন্তুষ্ট নন রেয়াল মাদ্রিদ কোচ।
Published : 19 Feb 2024, 02:20 PM
শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ। কিন্তু রেয়াল মাদ্রিদের সেই অনুভূতি মুছে যেতে বেশি সময় লাগেনি। ম্যাচের আধা ঘণ্টা না যেতেই গোল হজমের পর খেই হারিয়ে ফেলে তারা। দ্বিতীয়ার্ধে তো খুব বেশি পরিষ্কার সুযোগই তৈরি করতে পারেনি দলটি। রায়ো ভাইয়েকানোর বিপক্ষে দলের এমন ভোগান্তি কিছুতেই মানতে পারছেন না কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
এই ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জিরোনার চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল রেয়ালের সামনে। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার ১-১ ড্র করে তারা।
তৃতীয় মিনিটেই সফরকারীদের এগিয়ে নেন হোসেলু। ২৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা টানেন রাউল দে তমাস। বক্সে রেয়ালের মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টি পেয়েছিল স্বাগতিকরা।
এরপর প্রথমার্ধে রেয়ালের ফেদে ভালভের্দের একটি শট পোস্টে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে কাছ থেকে হোসেলুর একটি প্রচেষ্টা ঠেকানোর পর টনি ক্রুসের ফ্রি-কিক ব্যর্থ করে দেন ভাইয়েকানোর গোলরক্ষক। এছাড়া আর কোনো উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি রেয়াল। পুরো ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন আক্রমণভাগের বড় তারকা ভিনিসিউস জুনিয়র।
ওই পেনাল্টির পর দলের খেলোয়াড়রা স্নায়ুচাপে ভুগছিল বলে মনে করেন আনচেলত্তি, যা মোটেও ভালো লাগেনি তার।
“এই ড্রয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। পেনাল্টির আগ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছিলাম, এরপর আমাদের খেলা বদলে যায় এবং আমরা স্নায়ুচাপে ভুগতে থাকি।”
“এখানে খেলা সবসময়ই কঠিন। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। রায়ো ভালো খেলেছে। এক পয়েন্ট পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট নই।”
আগামী মৌসুমে কিলিয়ান এমবাপের রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন দিনকে দিন বাড়ছেই। বিষয়টি নিয়ে ভাইয়েকানো ম্যাচের আগে আনচেলত্তির সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় চারটি। এর মধ্যে একটি ছিল, এটি রেয়ালের খেলোয়াড়দের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাবে কি-না। ম্যাচের পর একই প্রশ্নে আগের মতোই উত্তর দেন ইতালিয়ান কোচ।
“কখন আমরা মনোযোগী ছিলাম না? আমরা সবসময় লক্ষ্যে মনোযোগী থাকি, আজও তাই। এই মৌসুমে কোনো কিছুর জন্য এই দলের সমালোচনা করা খুব সমীচীন হবে না।”
এই মৌসুমে একের পর এক চোটে একগাদা ফুটবলার হারিয়েছে রেয়াল। বিশেষ করে রক্ষণভাগ সাজাতে হচ্ছে জোড়াতালি দিয়ে। এর মধ্যে আবার ভাইয়েকানোর বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে যোগ করা সময়ে দুই মিনিটে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল। এই ম্যাচ দিয়ে আসরে পাঁচটি হলুদ কার্ড হয়ে গেছে মিডফিল্ডার কামাভিঙ্গার। ফলে দুজনকেই পরের ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে পাবে না রেয়াল।
২৫ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে আছে রেয়াল। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে মৌসুমের বিস্ময় জিরোনা। ২৫ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা।