চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে থাকার পরও নাটকীয়ভাবে হেরে যাওয়ায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার জন স্টোন্স।
Published : 12 Feb 2025, 04:29 PM
আরেকটি ম্যাচ, আবারও শেষ দিকে চাপে ভেঙে পড়ার নজির। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের শেষ দিকে গোল হজম করা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির। সবশেষ রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে শেষ দিকে দুই গোল খেয়ে হেরে গেছে তারা নাটকীয়ভাবে। এভাবে বারবার শেষ দিকে খেই হারানোর কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শেষ ষোলোর প্লে-অফের প্রথম লেগে আর্লিং হলান্ডের জোড়া গোলে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল সিটি। কিন্তু পরের মিনিটে ব্রাহিম দিয়াস সমতা টানার পর ৯২তম মিনিটে জুড বেলিংহ্যামের গোলে হেরে যায় তারা।
চলতি মৌসুমে নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিটে মোট ৭টি গোল হজম করেছে সিটি। তিন ম্যাচে হেরেছে তারা প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার পরও।
প্রথম পর্বে স্পোর্তিং লিসবনের বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর ৪-১ গোলে হারে তারা। ফেইনুর্ডের বিপক্ষে ৭৪ মিনিট পর্যন্ত ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর ড্র করে ৩-৩-এ। পিএসজির বিপক্ষে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর হেরে যায় ৪-২ ব্যবধানে। এবার রেয়ালের বিপক্ষে এই হার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে গুয়ার্দিওলা বললেন, একই ঘটনা বারবার ঘটলে ব্যাখ্যা দেওয়া কঠিন।
“২-১ গোলে এগিয়ে থাকার পর যেটা ঘটেছে, সেটা এই মৌসুমে অনেকবার ঘটেছে। ফেইনুর্ড, স্পোর্তিং লিসবন, ব্রেন্টফোর্ড, (ম্যানচেস্টার) ইউনাইটেডের বিপক্ষেও ঘটেছে। শেষ দিকে আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি। এই স্তরের ফুটবলে বিষয়টি খুবই কঠিন। প্রথমবার নয়, অনেকবার ঘটেছে, আর সে কারণেই এটা কঠিন।”
রেয়ালের বিপক্ষে এভাবে হেরে যাওয়ায় খুব হতাশ ও ক্ষুব্ধ সিটির ডিফেন্ডার জন স্টোন্স।
“আমরা অনেকটা সময় পর্যন্ত ম্যাচে ছিলাম এবং তারপর দুটি ঘটনা ঘটে এবং আমরা গোল হজম করি। একজন ডিফেন্ডার হিসেবে এই ফলাফল হতাশাজনক। রাগ এবং হতাশার অনুভূতি হচ্ছে।”
“কোচ বলেছেন যে, আমরা মাঠে যা করি তার জন্য আমাদের দায় নিতে হবে, আমার মনে হয়, আমরা তা নিই। এই কঠিন মুহূর্তগুলোয় আসলে আমাদের সবার এগিয়ে আসা উচিত।”
শেষ দিকের দুটি গোলেই দায় ছিল সিটির রক্ষণে। তবে নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের দিকে আঙুল তুলতে চান না গুয়ার্দিওলা।
“আমার দায় মেনে নিতে কোনো সমস্যা নেই। নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে দোষারোপ করা হাস্যকর। দায়টা আমাদের সকলের, প্রথমে আমার এবং অবশ্যই খেলোয়াড়দেরও।”
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে হবে ফিরতি লেগ।