ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
ইউক্রেনের বিপক্ষে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না বলে দাবি করেছেন বেলজিয়াম অধিনায়ক।
Published : 27 Jun 2024, 05:33 PM
গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করায় নকআউট পর্বের শুরুতেই প্রতিপক্ষ হিসেবে মিলেছে ফ্রান্স। সব মিলিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট বেলজিয়ামের সমর্থকরা, দুয়োও দিচ্ছিলেন তারা। ম্যাচ সেরা হিসেবে অধিনায়ক কেভিন ডে ব্রুইনের নাম শোনার পর আরও যেন উচ্চকণ্ঠ হলেন ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। তবে, আপাতত এসব নিয়ে ভাবতেই চান না ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।
স্টুটগার্টে বুধবার রাতে ইউক্রেইনের সঙ্গে গোল শূন্য ড্রয়ের পর ‘ই’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোয় ওঠে বেলজিয়াম। সেখানে তাদের অপেক্ষায় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
কেবল বেলজিয়াম নয়, জার্মানিতে এবারের ইউরোয় বিভিন্ন দল সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়ছে। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় ডে ব্রুইনে এড়িয়ে গেলেন এই প্রসঙ্গ।
“আমরা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেছিলাম এবং ৯০ মিনিট পর্যন্ত গোল করার বেশ সুযোগও পেয়েছিলাম… আমরা এটাও জানতাম যে, যদি ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো কোনো গোল হজম করে বসি, তাহলে আমরা ইউরো থেকে ছিটকে যাব।”
গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডের আগে চার দলেরই পয়েন্ট ছিল সমান ৩। দুটি ম্যাচই ড্র হওয়ায় গোলের হিসেবে ঠিক হয়েছে অবস্থান। এই পরিস্থিতিতে কোনো গোল হজম করলে বিদায় ছিল অবধারিত। ডে ব্রুইনে জানান, এরপরও গোলের জন্য আক্রমণাত্মক ছিলেন তারা।
“এটা খুবই হতাশার যে, আমরা আগে গোল করতে পারিনি। আমাদের সামনে সুযোগ এসেছিল। আর ভক্তদেরকে আমাদের অবশ্যই পাশে চাই। তিন ম্যাচেই আমরা নিজেদের সবটুকু দিয়েছি। দল ৯৫তম মিনিট পর্যন্ত দৌড়েছে। সবাই ম্যাচ জিততে চায়, আর আমরা মাঠে সেটাই করার চেষ্টা করেছি।”
ভক্তদের হতাশার কারণ বুঝতে পারছেন বেলজিয়াম কোচ ডমিনিকো তেদেসকো। তবে সাবধানী ফুটবল খেলা খেলোয়াড়দের পাশেই থাকছেন তিনি। তার মতে, ম্যাচ শুরুর সময় চার দলেরই পয়েন্ট সমান থাকায় ভুলের কোনো সুযোগ ছিল না।
“আমরা জানতাম, আজ আমরা ব্যর্থ হতে পারি না। খেলোয়াড়রা সব চেষ্টাই করেছে। আমরা শুরুর দিকে গোল করতে পারতাম, বেশি গোল করতে পারতাম। তখন সব কিছু সহজ হতো। আমি দলকে নিয়ে গর্বিত, কারণ ওরা শেষ পর্যন্ত ভালো করেছে। যদি গোল হজম করতাম, আমরা বাইরে চলে যেতাম।”
“অনেকে যেমন ভেবেছিল, এই গ্রুপ তার চেয়ে কঠিন। কাগজে কলমে আমরা ফেভারিট হতেই পারি। কিন্তু এই ম্যাচগুলো আমাদের খেলতে হয়েছে, আর এখানে তাদের (অন্য দলগুলোর) সত্যিই হারানোর কিছু ছিল না।”
ম্যাচে এক পর্যায়ে দর্শকদের কেউ একজন ডে ব্রুইনের মুখে বারবার লেজার পয়েন্টার মারছিল। এ নিয়ে বেলজিয়াম অধিনায়ক মাঠেই কথা বলেন অফিসিয়ালদের সঙ্গে। পরে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ জানান কোচ তেদেস্কো।
“অবশ্যই এই ব্যাপারে আমি সচেতন। এখানে অনেক কিছু ঘটছে। আর সব কিছুই অনুমোদিত। আমাদের এক ঘণ্টা দেরি হতে পারে (ম্যাচের জন্য স্টেডিয়ামে যেতে রাস্তায় যানজটের কারণে), তারপরও তারা ম্যাচ পরিত্যক্ত করে না। তারা আমাদের লেজার মারতে পারে, যেন যা কিছু হতে পারে।”
“অনেক কিছুই হয়েছে, এরপরও আমরা নকআউটে জায়গা করে নিয়েছি। আমার কাছে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কারণেই আমি খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত।”
সামনে এখন প্রতিপক্ষ গত বিশ্বকাপ রানার্সআপ ফ্রান্স। তাদের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তেদেসকো।
“অবশ্যই আমরা জয়ের জন্য খেলব। আমরা এখানে আছি এবং সেরা দলগুলোর অংশ হওয়ার জন্য ইউরোতে জায়গা করে নিয়েছি। এখন আমরা একটি শীর্ষ পর্যায়ের দলের বিপক্ষে খেলব। সে কারণেই প্রতিযোগিতায় এসেছি, নয়তো বাসায় থাকতে পারতাম।”