এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বাছাই
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার হতাশা নিয়ে কোচ মারুফুল হক বললেন, দলে উন্নতির অনেক জায়গা দেখছেন তিনি।
Published : 29 Sep 2024, 06:27 PM
সিরিয়া ও ভিয়েতনামকে শক্তিশালী মেনে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ‘ভালো ফলের’ আশা দেখিয়েছিলেন মারুফুল হক। কিন্তু মেলেনি কাঙিক্ষত ফল। ভুটানকে হারিয়ে বাছাই শেষ করলেও বাংলাদেশ কোচের মনে তাই মিশ্র অনুভূতির দোলাচল।
ভিয়েতনামের ল্যাচ ট্রে স্টেডিয়ামে রোববার ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে ভুটানকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। একটি করে জয় ও ড্র এবং দুই হার নিয়ে বাছাইয়ে পাঁচ দলের গ্রুপে তৃতীয় হয়ে শেষ করল যুবারা।
সিরিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে গ্রুপে যাত্রা শুরুর পর গুয়ামের বিপক্ষে ২-২ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ভিয়েতনামের বিপক্ষে ৪-১ গোলের হারে তাদের মূল পর্বের আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
মূল পর্বে খেলার স্বপ্নের ভিত অবশ্য অতটা দৃঢ়ও ছিল না নানা কারণে। প্রস্তুতির সময়ের স্বল্পতা ছিল। খেলোয়াড় ছাড়া ইস্যুতে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে টানাপোড়েনে মারুফুল পাননি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের ছয় খেলোয়াড়কে। ভিয়েতনামে যাওয়ার আগে তাই বড় স্বপ্নও দেখাননি তিনি।
ভুটানের বিপক্ষে পা হড়কালে গ্রুপে পঞ্চম হওয়ার শঙ্কাও ছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট মেলায় সব মিলিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় হয়েছে দল। মারুফুল তৃপ্তি খুঁজে নিচ্ছেন এই ছিটেফোঁটা প্রাপ্তির মধ্যেই।
“আমরা এখানে তিন নম্বর দল হিসেবে এসেছিলাম, গ্রুপে তৃতীয় হয়েই শেষ করলাম। সব মিলিয়ে আমার মিশ্র প্রতিক্রিয়া, আসলে এখানে আমাদের অনেক কিছু করার সম্ভাবনা ছিল। যদিও বিভিন্ন কারণে সেগুলো সম্ভব হয়নি। তবে এখানে আসার পরে (পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল) যে গ্রুপের পঞ্চম হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। যাই হোক, আলহামদুলিল্লাহ যে, তিন নম্বর দল হিসেবে শুরু করে তিন নম্বর হয়েই শেষ করতে পেরেছি।”
গুয়ামের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য ছিল, দলও লক্ষ্য পূরণের পথে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের গোলে হাতছাড়া হয় জয়। এর বাইরে সিরিয়া ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে তেমন কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি যুবারা। মারুফুল তাই উন্নতির অনেক জায়গা দেখছেন।
“আমার মনে হয়েছে এই গ্রুপে ভুটান সবচেয়ে দুর্বল দল ছিল…আমার মনে হয়েছে, আমাদের খেলায় অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ কারা, তাদের বিপক্ষে কিভাবে খেলতে হবে, এই সবকিছু নির্ভর করে ছেলেদের ট্যাকটিক্যাল জ্ঞানের ওপর। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, আমাদের ছেলেদের ট্যাকটিক্যালি আরও সমৃদ্ধ হতে হবে।”