ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
বদলি নেমে যোগ করা সময়ে দুই গোল করে দলকে পুরো তিন পয়েন্ট এনে দিলেন দারউইন নুনেস।
Published : 18 Jan 2025, 11:04 PM
শুরুর বাঁশি বাজতেই আক্রমণ শাণাল লিভারপুল। সেই শুরু, আক্রমণের ঝড় ক্রমেই গতি পেল আরও। কিন্তু শত চেষ্টায়ও মিলছিল না গোল। শেষ সময়ে গিয়ে অবশেষে ভাঙল ডেডলক। বদলি নামা দারউইন নুনেসের জোড়া গোলে জয়ের পথে ফিরল শিরোপাপ্রত্যাশী দলটি।
ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে আর্না স্লটের দল।
লিগে দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল তারা।
মৌসুমের প্রথমভাগের দুর্দান্ত লিভারপুল নতুন বছরে পা রেখেই যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে থাকে। লিগে টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারায় তারা। মাঝে এফএ কাপে একটি ম্যাচ জিতলেও, লিগ কাপে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে হেরে বসে স্লটের দল।
ব্যর্থতা মুছে তাই জয়ের পথে ফিরতে মরিয়া ছিল তারা। খুব কষ্টে হলেও লক্ষ্যপূরণ হলো দলটির।
পুরো ম্যাচে কতটা দাপুটে ফুটবল খেলেছে লিভারপুল, তা পরিসংখ্যানে স্পষ্ট। ৬০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ৩৭টি শট নিয়ে আটটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা, কর্নার পায় ১৫টি। যেখানে ব্রেন্টফোর্ডের ১১ শটের ছয়টি লক্ষ্যে ছিল।
২১ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল লিভারপুল।
এক ম্যাচ বেশি খেলে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে ব্রেন্টফোর্ড।
আগের ম্যাচে শেষ সময়ে দুই গোল করে ম্যানচেস্টার সিটিকে রুখে দেওয়া ব্রেন্টফোর্ডের এদিনও শুরুটা হতে পারত দারুণ। পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় তারা; কিন্তু সতীর্থের পাসে প্রতিপক্ষের পা ছুঁয়ে আসা বল গোলমুখে ফাঁকায় পেয়েও প্রয়োজনীয় টোকা দিতে পারেননি ডেনিশ মিডফিল্ডার মিকেল ডামসগঁ।
এরপর বল দখলে আধিপত্য ধরে রেখে টানা আক্রমণ করতে থাকে লিভারপুল। প্রথমার্ধেই গোলের জন্য ১৯টি শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা, যদিও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের খুব বেশি পরীক্ষা নিতে পারেনি দলটি।
ব্রেন্টফোর্ডের বক্সে ৩৪তম মিনিটে ভীতি ছড়ায় লিভারপুল। প্রতিপক্ষের অনেক খেলোয়াড়ের মধ্যে দিয়ে বল পায়ে কারিকুরি করে এগিয়ে দুর্বল শট নিয়ে হতাশ করেন দোমিনিক সোবোসলাই। পরের মিনিটে দূর থেকে হাঙ্গেরির এই মিডফিল্ডারের জোরাল শট ক্রসবার কাঁপায়।
বিরতির পরও একই গতিতে চলতে থাকে খেলা। চাপের মুখে মূলত ঘর সামলানোর চেষ্টায় ব্যস্ত সময় কাটছিল ব্রেন্টফোর্ডের। মাঝেমধ্যে তারা উঠছিল পাল্টা আক্রমণে।
অসংখ্য সুযোগ নষ্টের মিছিলে লিভারপুল শিবিরে হতাশা বাড়তে থাকে।
নতুন শক্তির যোগান দিতে ৬৫তম মিনিটে লুইস দিয়াসকে বসিয়ে নুনেসকে নামান লিভারপুল কোচ। আস্থার প্রতিদান দিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনিই হয়ে ওঠেন নায়ক।
নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে গোল পেয়েই যাচ্ছিল লিভারপুল। কিন্তু মোহামেদ সালাহর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের প্রথম পাস রক্ষণে প্রতিহত হয়। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নুনেসকে খুঁজে নেন তিনি এবং বক্সের মধ্যে থেকে ডান পায়ের শটে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড।
এগিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে এক মিনিট পর শাণানো পরের আক্রমণেই সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন নুনেস। বক্সে হার্ভি এলিয়টের পাস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত শটে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।