'আমি কাঁদব', বললেন আবেগাপ্লুত ফিরমিনো

অ্যানফিল্ডে শেষবারের মতো খেলতে নামার আগে আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2023, 09:33 AM
Updated : 20 May 2023, 09:33 AM

সময় ঘনিয়ে আসছে, আবেগের চোরাস্রোতও রবের্তো ফিরমিনোর অন্দরে বইতে শুরু করেছে। এই অ্যানফিল্ডে কত প্রাপ্তি, অর্জনের সুখস্মৃতিগুলো ‍উঁকি দিচ্ছে তার মনের অলিন্দে। লিভারপুলের জার্সিতে যে এই চেনা সবুজে শেষবারের মতো মাঠে নামতে যাচ্ছেন এই ব্রাজিলিয়ান! 

চলতি মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাকাপাকি হয়েছে বেশ আগে। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচটি তাই প্রিয় আঙিনায় ‘অলরেড’দের হয়ে তার শেষ স্মৃতি হয়ে যাবে। বিষয়গুলো ভাবতেই ফিরমিনোর আবেগের উপচে পড়া ঢেউ কান্না হয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। 

প্রাণান্ত চেষ্টায় ফিরমিনো তা আটকে রেখেছেন। চেনা মাঠে শেষটা রাঙানোর দিকে গভীর মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু শেষের রাগিনী যখন বিদায়ের করুণ সুর নিয়ে বেজে উঠবে, তখন পারবেন কি অশ্রুধারা আটকে রাখতে? এ উত্তরও আড়াল করেননি ফিরমিনো। 

সেই ২০১৫ সালে হফেনহাইম থেকে অ্যানফিল্ডে পা রেখে, সাফল্যের সোনার হাসিতে মোড়ানো আটটি বছর পার করে ফেলেছেন। এ পর্যন্ত লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন ১০৯টি। পেয়েছেন বড় সব শিরোপার স্বাদ-প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ ও লিগ কাপ। 

কিন্তু পেশাদার জীবনের বাস্তবতা বড়ই কঠিন। একসময় বিদায় বলতে হয়, খুঁজে নিতে হয় নতুন ঠিকানা, চ্যালেঞ্জ। ৩১ বছর বয়সী ফিরমিনো তাই লিভারপুলকে বিদায় বলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চলতি মৌসুম শেষে তার মতো জেমস মিলনার, নাবি কেইতা, অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইনও হবেন দলছুট। 

চলমান লিগে লিভারপুলের বাকি আছে দুই ম্যাচ। সবশেষটি সাউথ্যাম্পটনের মাঠে। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচটি তাই ফিরমিনোর জন্য এতদিনের চেনা সমর্থকদের সামনে থেকে বিদায় নেওয়ার ক্ষণ। এতকিছু যেন ভাবতেই পারছেন না আবেগাপ্লুত ফিরমিনো। 

“আমি চেষ্টা করছি ম্যাচে মনোযোগ দিতে, কিন্তু ম্যাচ শেষের পর নিশ্চিত আমি কাঁদব। সতীর্থদের, এই ক্লাব, বিশেষ করে সমর্থকদেরকে-আমি অবশ্যই মিস করব। সমর্থকদের আমি ভালোবাসি, এই আটটি বছর তারা আমাকে অনেক সমর্থন জুগিয়েছে।” 

“এখানে একসাথে আমরা যা অর্জন করেছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত। ক্লাব আমার ও আমার পরিবারের জন্য যা কিছু করেছে, তার সবকিছু নিয়ে আমি খুবই খুশি।” 

মোহামেদ সালাদ ও সাদিও মানের সঙ্গে ধারাল আক্রমণত্রয়ী গড়ে তুলেছিলেন ফিরমিনো। কিন্তু গত দুই মৌসুমে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার। সেরা একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। ফিরমিনো তাই আর দেরি করতে চাননি, চক্রের শেষ দেখতে পেয়ে থামতে চেয়েছেন দ্রুতই। 

“এটাই সময় (বিদায় বলার), যদিও এটা দূর্ভাগ্যজনক। চক্রটি এখানে শেষ হচ্ছে এবং আমি বুঝতে পারছি, এখন আমার চলে যাওয়ার সময়।” 

“এই দলের হয়ে যা কিছু আমি করেছি, একসাথে আমরা যা কিছু অর্জন করেছি এবং যে দারুণ ইতিহাস লিখেছি, সবকিছু নিয়ে আমি ভীষণ গর্বিত। হয়ত একদিন এখানে ফিরেও আসতে পারি আমি, সেটা কবে জানি না, কিন্তু এখন চলে যাওয়ার সময়।”