কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট পেতে এখনও অনেক কাজ বাকি, সতীর্থদের মনেও করিয়ে দিলেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক।
Published : 06 Mar 2025, 05:56 PM
অবসর ভেঙে ফেরার পর বার্সেলোনার জার্সিতে শুরুটা এলোমেলো হলেও, সেই সময় পেছনে ফেলে এসেছেন ভয়চেখ স্ট্যান্সনি। সবশেষ ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু সেভ করে দলকে জিতিয়ে কোচের অকুণ্ঠ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। তবে এতে সন্তুষ্ট নন এই পোলিশ গোলরক্ষক। বললেন, তার সেরাটা আসার এখনও বাকি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রাতে নকআউট পর্বের ম্যাচে বেনফিকার প্রবল আক্রমণের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান স্ট্যান্সনি। শেষ ষোলায় প্রথম লেগের ম্যাচটিতে মোট আটটি দারুণ সেভ করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে রাফিনিয়ার একমাত্র গোলে জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
শুরুর দিকে দলটির তরুণ ডিফেন্ডার পাউ কুবার্সি লাল কার্ড দেখায় ম্যাচের প্রায় ৭০ মিনিটের মতো একজন কম নিয়ে খেলতে হয় কাতালান দলটিকে। যা তাদের জয়ের এবং বিশেষ করে স্ট্যান্সনির অবদানকে আরও বিশেষ করে তুলছে।
ম্যাচের পর বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিকের কণ্ঠেও ঝরে স্ট্যান্সনির স্তুতি। কোচের ভাষায় স্ট্যান্সনি ছিল এককথায় অসাধারণ।
ক্লিন শিট রেখে, দলের জয়ে এভাবে অবদান রাখতে পেরে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন ৩৪ বছর বয়সী গোলরক্ষক। আর্সেনাল ও ইউভেন্তুসের সাবেক এই ফুটবলার সামনে আরও ভালো পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিলেন।
“আমার সেরাটা এখনও আসার বাকি। ২৫তম মিনিটে যে সেভটা করেছি, সেটা আমারও ভালো লেগেছে। এক মাস আগে এখানে খেলে আমরা অনেক গোল হজম করেছিলাম, তাই আজ জাল অক্ষত রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেদ্রি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছে, তবে আমার মনে হয় আমিও অর্ধেকটার দাবিদার।”
নতুন আঙ্গিকের এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক পর্বেও দেখা হয়েছিল দল দুটির। বেনফিকার মাঠে জানুয়ারির ওই রোমাঞ্চকর ম্যাচে একটা সময় পর্যন্ত ৪-২ গোলে পিছিয়ে ছিল বার্সেলোনা, সেদিনও দলের পোস্টে ছিলেন স্ট্যান্সনি। পরে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫-৪ গোলে জিতে যায় তারা। সেদিন চার গোল হজমের পর এখানে জাল অক্ষত রাখতে পারায় আরও বেশি খুশি তিনি।
রক্ষণ জমাট রেখে প্রতিপক্ষের মাঠে কাঙ্ক্ষিত জয় মিললেও, কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট যে এখনও মেলেনি, সেটা সতীর্থদের মনেও করিয়ে দিলেন স্ট্যান্সনি।
“আমরা খুব খুশি। কাজ এখনও শেষ হয়নি। (দুই লেগের লড়াইয়ের) আরেক ম্যাচ বাকি আছে এবং পেশাদার মনোভোবেই কাজটা আমাদের শেষ করতে হবে।”
“ওই লাল কার্ডের পর কী করতে হতো, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। আমরা দৃঢ় থেকেছি, প্রতি-আক্রমণ করেছি। দেখিয়েছি যে, আমরা দলের অন্য রূপ মেলে ধরেও জিততে পারি।”
শেষ ষোলোর বাধা পেরোনোর বাকি কাজ সারতে আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ফিরতি লেগের লড়াইয়ে নামবে ফ্লিকের দল।