ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
ইউরোর কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর পর্তুগালের কোচ রবের্তো মার্তিনেস দায় দিলেন দুর্ভাগ্যকে।
Published : 06 Jul 2024, 09:38 AM
পর্তুগালের বিদায়ের পেছনে কারও দিকে আঙুল তুলতে চাইলে কাজটা খুবই সহজ। টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন তো একজনই। কিন্তু স্রেফ একজনকে খলনায়ক বানাতে নারাজ পর্তুগালের কোচ রবের্তো মার্তিনেস। বরং ফেলিক্সের পাশেই দাঁড়ালেন তিনি। টুর্নামেন্টে পথচলা শেষ হলেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত কোচ।
ইউরোর কোয়ার্টার-ফাইনালে শুক্রবার ফ্রান্সের কাছে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হেরে বিদায় নেয় পর্তুগাল। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে সব কটি শটই জালে জড়ান ফরাসিরা। পর্তুগালের তৃতীয় শটে ফেলিক্স বল মারেন পাস্টে।
ম্যাচের পর পর্তুগালের ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের দেখা যায় পরস্পরকে সান্ত্বনা দিতে। পিঠ চাপড়ে দিয়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে, আলিঙ্গনে জড়িয়ে ফেলিক্সকে সাহস জোগান ও ভালোবাসা জানান সবাই। ম্যাচের পর কোচ মার্তিনেসের কণ্ঠেও উঠে এলো দলের ভেতরের চিত্র।
“এটা আপনাকে বলতে পারি যে, স্কোয়াডের সবাই পরস্পরের পাশে আছে এবং পেনাল্টিতে তারাই ব্যর্থ হয় না, যারা কখনও পেনাল্টি নেয় না। মূল ম্যাচে জোয়াও যথেষ্টই নিয়ন্ত্রণে ছিল, কঠোর পরিশ্রম করেই নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে গেছে। পেনাল্টিতে গোল না করতে পারাটা স্রেফ দুভার্গ্য।”
হারের কারণ যেটিই হোক, আরও একবার দলটি প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ, এটিই এখন বাস্তবতা। ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়নরা গত আসরে বাদ পড়েছিল শেষ ষোলো থেকে, এবার থমকে দাঁড়াল আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়েই। তাদের দলে প্রতিভাবান ফুটবলার ও তারকা আছে অনেক। কিন্তু গোটা টুর্নামেন্টে তাদের খেলায় তেমন ধার ছিল না।
গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর শেষ ম্যাচে তারা হেরে বসে নবাগত জর্জিয়ার বিপক্ষে। শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে গোল না করতে পারার পর টাইব্রেকারে গোলকিপার দিয়োগো কস্তার অবিশ্বাস্য নৈপুণ্যে তারা কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রাখতে পারে। এবার টাইব্রেকারে কস্তা পারেনি অভাবনীয় কিছু করতে।
সব মিলিয়ে পারফরম্যান্স সাদামাটা হলেও দল মাথা উঁচু করেই বিদায় নিচ্ছে বলে দাবি কোচ মার্তিনেসের।
“ব্যক্তিগত প্রতিভার ছড়াছড়ি এই দলে, সবারই তা চোখে পড়ার কথা। দল হিসেবেও তারা দারুণ একতা দেখিয়েছে এবং একসঙ্গে লড়াই করতে শিখেছে, জয়ের তাড়না দেখিয়েছে।”
“আমরা হেরেছি, তবে গর্ব নিয়েই বিদায় নিচ্ছি। প্রতিটি মিনিট নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েছি, সত্যিকারের পর্তুগিজ ধরনেই। এখানেই থামব না আমরা। ভবিষ্যতে আবার নিজেদের উজাড় করে দেব আমরা।”