কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে অতি উৎসাহী নানা প্রশ্নে বিরক্ত ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশম।
Published : 14 Nov 2024, 10:00 AM
না থেকেও যেন আছেন কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রান্সের স্কোয়াডে না থাকলেও ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তাকে নিয়ে প্রশ্ন হলোই। কোচ দিদিয়ে দেশম শুরুতে একটু মজা করলেও পরে অনুরোধ করলেন এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে অতিরিক্ত ঘাটাঘাটি না করতে।
ইসরায়েলের বিপক্ষে নেশন্স লিগের ম্যাচের আগের দিন বুধবার প্যারিসে সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের পর এমবাপের প্রসঙ্গ তুললেন একজন। নেশন্স লিগের আগের রাউন্ডের দুই ম্যাচে ফ্রান্সের অধিনায়ক খেলতে পারেননি উরুর হালকা চোটের কারণে। এখন তার চোট-সমস্যা নেই। তবে এবারের রাউন্ডেও স্কোয়াডে তাকে রাখেননি কোচ।
ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বিবর্ণ রূপের কারণেই এই ফরোয়ার্ডকে দলে রাখা হয়নি। দেশমকে প্রশ্ন করা হলো, দলের বাইরে রাখার ব্যাপারটি নিয়ে অধিনায়কের সঙ্গে তার কথা হয়েছে কি না।
কোচ শুরুতে মজা করে বললেন, এমবাপেকে নিয়ে প্রশ্ন তিনি আরও আগেই আশা করেছিলেন। পরে আকুতির সুরে বললেন, “শুনুন, আপনাকে যেটা বলছি তো বলছিই… আপনাদের কথা বলার স্বাধীনতা আছে, যা ইচ্ছা ব্যাখ্যা করতে পারেন, কিন্তু আমার সামনে কালকে ম্যাচ। এখানে ২৩ জন ফুটবলার আছে, কিলিয়ান এখানে নেই- দয়া করে ওকে ছেড়ে দিন।”
সাম্প্রতিক সময়ে ঠিক চেনা চেহারায় নেই এমবাপে। ৪৮ গোল করে ফ্রান্সের ইতিহাসের তৃতীয় সেরা গোল স্কোরার দেশের জার্সিতে জালের দেখা পাননি গত জুনের পর থেকে। পিএসজি ছেড়ে রেয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমানোর পর এখনও সেখানে খুব একটা মানিয়ে নিতে পারেননি তিনি।
এবার এমবাপেকে স্কোয়াডের বাইরে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেননি দেশম। তবে ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে বলে সুইডিশ সংবাদমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে, সেটির সঙ্গে তাকে দলে না রাখার সম্পর্ক নেই বলে নিশ্চিত করেছেন কোচ। এমবাপের প্রতিনিধিরা অভিযোগটিকে ‘মিথ্যা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে আগেই।
নেশন্স লিগে ‘এ’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সঙ্গে খেলার পর রোববার ইতালির মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।
ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ঘিরে প্যারিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ম্যাচটি এমন এক সময় হতে যাচ্ছে, যখন গাজায় ইসরায়েলি হামলার জের ধরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চরম টানাপোড়েন চলছে।
গত সপ্তাহে আমস্টারডামে স্থানীয়দের সঙ্গে ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের দাঙ্গা বেঁধে গিয়েছিল। প্যারিসেও নানা কিছুর শঙ্কা থেকে স্টেডিয়ামের আশেপাশে, গণপরিবহনে ও নানা জায়গায় ৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।