পুলিশকে হারিয়ে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের দিকে তাকিয়ে মেরিনার্স

নিজেরা জিতলেও প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের শিরোপার জন্য মেরিনার ইয়াংকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের দিকে।

প্রথম পর্বের দুই হার ও এক ড্রয়ের ধাক্কা সুপার সিক্সে সামলে নিল মেরিনার ইয়াংস। পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতে নিল দারুণ খেলে। কিন্তু তারপরও প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগের শিরোপার জন্য তাদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের দিকে।

মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে শুক্রবার পুলিশকে ৪-২ গোলে হারায় মেরিনার্স। দুই দলের প্রথম পর্বের ম্যাচটি হয়েছিল ৫-৫ ড্র।

সুপার সিক্সে টানা পাঁচ জয় পেল মেরিনার্স। ঊষা ক্রীড়া চক্রকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শুরুর পরের তিন ম্যাচে আবাহনীকে ২-১, মোহামেডানকে ৩-২ এবং অ্যাজাক্স স্পোর্টিংকে ৯-২ গোলে হারিয়েছিল তারা।

১৫ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শিরোপাধারী মেরিনার্স। এক ম্যাচ কম খেলা আবাহনীর পয়েন্ট ৩৪। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে মোহামেডান। আবাহনীর বিপক্ষে জিতলে ২০১৮ সালের পর লিগের মুকুট ফিরে পাবে মোহামেডান।

মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনী জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে মেরিনার্সের সমান। সেক্ষেত্রে বাইলজ অনুযায়ী প্লে-অফ ম্যাচ হওয়ার কথা। মোহামেডান ও আবাহনী ম্যাচ ড্র হলে মুকুট ধরে রাখবে মেরিনার্স।

শুরতেই মেরিনার্সকে কাঁপিয়ে দেয় পুলিশ; প্রথম মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গুরজিত সিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় তারা। শুরুর ধাক্কা সামলে নবম মিনিটে দীপকের লক্ষ্যভেদ সমতায় ফিরে মেরিনার্স।

এরপর পেনাল্টি কর্নার থেকে রাজিন্দর সিং ও মঈনুল ইসলাম কৌশিকের রিভার্স হিটে স্কোরলাইন ৩-১ করে নেয় মেরিনার্স। ২৭তম মিনিটে দীপক প্যাটেলের ফিল্ড গোলে ফের ম্যাচ জমিয়ে তোলে পুলিশ। পাঁচ মিনিট পর সোহানুর রহমান সবুজের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়া মেরিনার্স বাকি সময় নির্বিঘ্ন কাটিয়ে জয় তুলে নেয়।

লিগে সবুজের গোল হলো ৩৯টি। ১৯৯৫ সালে রফিকুল ইসলাম কামালের এক মৌসুমে করা ৪০ গোলের রেকর্ড অটুট থাকল।