বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন
দুই বছরের জন্য জাতীয় পুরুষ ও নারী ফুটবল দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দলগুলোরও কিট স্পন্সর হয়েছে স্থানীয় ব্র্যান্ড দৌড়।
Published : 11 Feb 2025, 07:36 PM
একটু নতুন খবরই। এই প্রথম কিট স্পন্সর পেল ফুটবল দল। শুধু পুরুষ ও নারী জাতীয় দল নয়, বয়সভিত্তিক দলগুলোরও কিট স্পন্সর হয়েছে ‘দৌড়’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চেনা ব্র্যান্ডের ভিড়ে যেটি খুব বেশি পরিচিতও নয়।
দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দুই বছর মেয়াদের চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা মঙ্গলবার সারা হয়েছে বাফুফে ভবনে।
চুক্তিতে সরাসরি বাফুফের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ খুব একটা নেই। এই দুই বছরে মূল জার্সি, অনুশীলনের জার্সি, ট্রাউজার থেকে শুরু করে আনুষাঙ্গিক সবকিছুই সরবরাহ করবে তারা। এছাড়া অনলাইনে যে পণ্যগুলো বিক্রি হবে, তার লভ্যাংশ থেকে কিছু অর্থ পাবে বাফুফে।
অথচ লাল-সবুজের জার্সিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর যুক্ত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ দলের ব্র্যান্ড মূল্য বেড়েছে রাতারাতি। সেখানে এখনও ফিফার তালিকাভুক্ত নয়, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কিট স্পন্সর হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে সমালোচনা। তবে বাফুফের সহ-সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির প্রধান ফাহাদ করিমের দাবি, এই চুক্তিতে লাভবান হবে বাফুফে।
“গত বছর বিভিন্ন জাতীয় দলের জন্য প্রায় কোটি টাকার ক্রীড়া সামগ্রী কিনতে হয়েছে। চলতি বছর খেলার সংখ্যা বাড়ছে বলে এ খাতে খরচও স্বাভাবিকভাবে বাড়বে। এই অর্থ আমাদের ব্যয় করা লাগবে না। বরং বাণিজ্যিকভাবে এই কিটগুলো বিক্রি থেকেও একটা লভ্যাংশ পাবে বাফুফে।”
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল দেশি একটি ব্র্যান্ডকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার গুরুত্বও তুলে ধরলেন।
“সরঞ্জামের মান কেমন হবে, সেটা যাচাই করে আমরা একটি স্থানীয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছি। স্যাম্পল হিসেবে তাদের জার্সি পরে স্বনামধন্য কিছু ক্লাব এরই মধ্যে অনুশীলন করেছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নাম বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে চাই। আগে আমাদের বিদেশ থেকে কিটস কিনতে হতো, কিন্তু এখন হবে উল্টো। আমরা এই ব্র্যান্ডকে বিদেশে নিয়ে যাব।”
দৌড়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আবিদ আলম চৌধুরী জানালেন, জাতীয় দলের জার্সি নকশা করছেন প্রবাসী এক ডিজাইনার। নকশা কেমন হবে? সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি ‘সারপ্রাইজ’ রেখে দেওয়ার কথাও বললেন।
“জার্সির ডিজাইন নিয়ে বাংলাদেশ বংশোদ্ভুত একজন প্রবাসী ডিজাইনার কাজ করছেন। জার্সিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। বিষয়টা সারপ্রাইজ হয়ে থাকুক এখন।”