কোপা আমেরিকা
সামনের পথচলার জন্য দারুণ ভিত পাওয়ায় তৃপ্ত জেসি মার্শ।
Published : 10 Jul 2024, 02:03 PM
আর্জেন্টিনার কাছে ২-০ গোলে হেরে যাত্রা শুরু। সেই দলের বিপক্ষে একই ব্যবধানে হেরে কোপা আমেরিকায় ‘শেষ’ হয়েছে কানাডার যাত্রা। মাঝের সময়টায় দেখিয়েছে সামর্থ্যের ঝলক। প্রথমবার এই টুর্নামেন্ট খেলতে এসে সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ায় দলকে গর্বিত কোচ জেসি মার্শ।
পরাজয়ে যাত্রা শুরুর পর পেরুকে ১-০ হারিয়ে চমক জাগায় কানাডা। পরে চিলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে তারা পেয়ে যায় নকআউটের টিকেট। শেষ ষোলোর ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে টাইব্রেকারে জেতে কনমেবলের আমন্ত্রণে কোপায় খেলতে আসা দেশটি।
সেমি-ফাইনালে আর শক্তি-সামর্থ্যে অনেক এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পেরে ওঠেনি কানাডা। তবে বেশ কয়েকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রক্ষণকে পরীক্ষায় ফেলেন জোনাথান ডেভিড, জ্যাকব শ্যাফলবার্গরা।
শেষ পর্যন্ত হুলিয়ান আলভারেস ও লিওনেল মেসির গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। জিততে না পারলেও ম্যাচ শেষে নিজ দলে পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির কথা বলেন কানাডা কোচ।
“ম্যাচ শেষে আমি দলকে যেটা বলেছি, আমি জানি যে তারা হতাশ। তবে তাদের নিয়ে আমি অনেক গর্বিত। আমরা দুর্দান্ত কিছু পারফরম্যান্স দেখিয়েছি। যা আমাদের প্রক্রিয়ার শুরু।”
সেই প্রক্রিয়াটি কী, সেটাও জানান মার্শ।
“আমাদের খেলোয়াড় বাড়ানোর একটা উপায় বের করতে হবে। এই দলটাকে এসব মুহূর্তে একত্রিত হয়ে পারফর্ম করার চ্যালেঞ্জ জানানোর ধারা ধরে রাখতে হবে।”
“তবে সব মিলিয়ে আমাদের দুর্দান্ত ৫-৬ সপ্তাহ কেটেছে। আমাদের যে কারও ভাবনার চেয়ে ভালো কেটেছে। অনেক কাজ বাকি আছে। তবে আমরা দারুণ ভিত গড়েছি।”
শিরোপা সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেলেও কোপা আমেরিকা থেকে প্রাপ্তির সুযোগ এখনও আছে কানাডার। ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আগামী শনিবার ভোরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে তারা। যেখানে প্রতিপক্ষ হতে পারে উরুগুয়ে বা কলম্বিয়া।