সুয়ারেসকে গোল বানিয়ে দেওয়ার পর নিজেও দারুণ এক গোল করেন মেসি, তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
Published : 14 Mar 2024, 10:43 AM
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটের খেলা চলছে তখন। লিওনেল মেসিকে দেখা গেল আস্তে আস্তে মাঠ ছাড়তে। গোটা ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়ার্ধে এতটা দ্রুত তাকে তুলে নেওয়া হয়নি আগে কখনোই। তবে ততক্ষণে যা করেছেন, ম্যাচের ভাগ্য একরকম লেখা হয়ে গেছে তাতেই। দারুণ পাসে গোল করিয়েছেন, দুর্দান্ত এক গোল করেছেন। যে পথ ধরে পরে জয় পেয়েছে দল।
কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় রাউন্ডে ন্যাশভিল এসসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রেখেছে ইন্টার মায়ামি। প্রথম লেগ ড্র হয়েছিল ২-২ গোলে।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে এই ম্যাচে অষ্টম মিনিটে মায়ামিকে এগিয়ে দেন সুয়ারেস। বক্সের একটু বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের দুই জনের মাঝখান দিয়ে দারুণভাবে বল বাড়িয়ে দেন মেসি। বক্সের ভেতর বল ধরে সুয়ারেস আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে পাঠিয়ে দেন জালে।
২৩তম মিনিটে বল নিয়ে বিপজ্জনকভাবে ন্যাশভিলের বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়েগো গোমেস। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে তিনি আলটো টোকায় বল দেন মেসিকে। বল ধরেই বাঁ পায়ের গতিময় শটে জালে জড়িয়ে দেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
৫০তম মিনিটে তুলে নেওয়া হয় তাকে। তার বদলি হিসেবে নামা রবার্ট টেইলর ৬৩তম মিনিটে গোল করে আরও এগিয়ে দেন দলকে। সুয়ারেসের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন ফিনল্যান্ডের এই মিডফিল্ডার।
খেলার একদম শেষ মুহূর্তে ন্যাশভিলের হয়ে একটি গোল ফিরিয়ে দেন স্যাম সারিজ।
৫-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে পৌঁছে যায় মায়ামি।
মেসি যখন বেরিয়ে যান, চোটের কোনো লক্ষণ বোঝা যায়নি তার পদক্ষেপে। তবে ম্যাচের পর কোচ জেরার্দো মার্তিনো জানালেন চোটের কথা। মেজর লিগ সকারের পরের ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে না বলেও ধারণা করছেন কোচ।
“লিওর (মেসি) ডান পায়ের পেশিতে সমস্যা হয়েছে। ওকে নিয়ে আমরা কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চাই না। প্রথমার্ধের পর চেষ্টা করে দেখেছি যে, আরেকটু সময় খেলতে পারে কি না। তবে এই সমস্যা তাকে অস্বস্তিতে ফেলছিল, এজন্যই মাঠ থেকে তুলে নিয়েছি।”
“ওকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। ধারণা করতে পারি, পরের ম্যাচে শনিবার ওকে পাওয়া যাবে না। আপাতত এটুকুই বলতে পারি। কিছু পরীক্ষা করাতে হবে তার, এরপর আমরা দেখব সে কেমন অনুভব করছে।”
মেজর লিগ সকারে মায়ামির আগের ম্যাচেও খেলতে পারেননি মেসি। সেদিন মন্ট্রিয়ালের কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায় তারা।
কোচ মার্তিনো বললেন, মেসিকে সব ম্যাচে না পাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি তাদের ছিলই আগে থেকে।
“মৌসুম শুরুর সময়ই আমরা জানতাম যে লিও সব ম্যাচে খেলতে পারবে না। সে যদি খেলতে না পারে বা তাকে যদি মাঠ থেকে উঠিয়ে নিতে হয়, সেটা তো স্রেফ আর দশজন ফুটবলারের মতো নয়। সে সর্বকালের সেরা ফুটবলার, তার অভাব তো বোধ হবেই।”