এমবাপের ফ্রান্সের মুখোমুখি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ‘ইরানের মেসি’

এই লক্ষ্য পূরণে অবশ্য প্রথমে প্রাথমিক পর্বের কঠিন পরীক্ষায় পাস করতে হবে সরদার আজমাউন ও তার দলকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2022, 12:12 PM
Updated : 28 Oct 2022, 12:12 PM

‘ইরানের মেসি’-এই উপমার ভার নিয়ে গত বিশ্বকাপ খেলেছিলেন সরদার আজমাউন। কিন্তু সেবার গোলের খাতা খুলতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। সেই হতাশা কাতারে মুছে দেওয়ার লক্ষ্যে দিন গুনছেন তিনি।

স্বপ্ন দেখছেন প্রিয় খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপে ও তার দল ফ্রান্সের মুখোমুখি হওয়ার। গ্রুপ পর্বে অবশ্য ফ্রান্সের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ নেই ইরানের। তাই প্রথমে প্রাথমিক পর্বের কঠিন পরীক্ষায় পাস করতে হবে তাদের।

‘বি’ গ্রুপে ইরানের সঙ্গী যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস।

গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল এশিয়ার দেশটি। ২০১৮ সালে রাশিয়ার ওই আসরে গ্রুপ পর্বে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের মুখোমুখি হয়েছিল ইরান। ১-১ ড্র হওয়া সেই ম্যাচে খেলেছিলেন আজমাউন।

আগামী ২০ নভেম্বর পর্দা উঠবে এবারের বিশ্বকাপের। পরদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে ইরান। ২৯ নভেম্বর গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে ২০১৯ এশিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়নরা।

প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র বলে ইরানের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক বৈরিতার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ঢের। আজমাউন অবশ্য সে স্রোতে গা ভাসাচ্ছেন না; তার আশা ভালো ফুটবল উপহার দেবে দুই দল।

“যুক্তরাষ্ট্র ভালো দল এবং বুন্ডেসলিগায় খেলার সময় ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের কয়েকজন খেলোয়াড় সম্পর্কে জানি। নিশ্চিতভাবে তাদের মান আছে, কিন্তু আমার মতে এটা ইরানের জন্য কঠিন ম্যাচ হবে না। আশা করি, দুই দলই ভালো খেলবে।”

“অবশ্য গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচই কঠিন হবে। আমাদের গ্রুপে শক্তিশালী তিনটি দল যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েলস এবং ইংল্যান্ড। আমরা জানি তাদের দলে দারুণ সব খেলোয়াড় আছে; বিশেষ করে ইংল্যান্ড দলে-তাদের বিপক্ষে ম্যাচ সহজ হবে না, তবে আমি আশা করি, আমরা তাদেরকে হারাব। নিজেদের সামর্থ্যে আমরা বিশ্বাসী এবং আমাদের দলেও মেধাবী খেলোয়াড় আছে।”

শুনতে অবাক লাগতে পারে, বিশ্বকাপ নিয়ে শৈশবের তেমন কোনো স্মৃতিই নেই আজমাউনের। ফুটবল নয়, ভলিবল নিয়ে পড়ে থাকতেন তিনি। এরপর একটু একটু করে ফুটবলের প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল। ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড এখন ইরানের আক্রমণভাগের বড় ভরসা।

আজমাউনের `ইরানিয়ান মেসি’ খেতাব পাওয়ার কারণ গোলমুখে তার পারদর্শিতা। রাশিয়ার আসরে যাওয়ার আগে ৩০ ম্যাচে ২৩ গোল করেছিলেন তিনি। কাতারের আসরে গোলের জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকবে ইরানের সমর্থকরা।

আজমাউন অবশ্য আরেকটি চাওয়া নিয়ে নোঙর ফেলবেন কাতারে। এমবাপের ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে মুখিয়ে আছেন বায়ার লেভারকুজেনের এই ফরোয়ার্ড।

“এবারের বিশ্বকাপে আমার ফেভারিট খেলোয়াড় এমবাপে। আমি মূলত জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মুখোমুখি হতে চাইতাম, তার বিপক্ষে ইউরোপা লিগে খেলেছিলাম। এই বিশ্বকাপে চাইব ফ্রান্স ও এমবাপের মুখোমুখি হতে।”

“ইরান দলেও তারকা খেলোয়াড় আছে এবং আমাদের অনেকে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মানের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপে খেলেছে। তারকাদের কিভাবে সামালাতে হয়, আমরা জানি। নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা আছে আমাদের।”