পুলিশ এফসির জন্য ছিল বাঁচা-মরার ম্যাচ। রক্ষণ জমাট রেখে শুরু করা দলটি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে আটকেও রাখল অনেকটা সময়, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বদলি নামা নিহাদ জামান উচ্ছ্বাসের গোলে জিতল শেখ রাসেল। এক জয়েই উঠে গেল ফেডারেশন কাপের সেরা আটেও।
মুন্সিগঞ্জের শহীর বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ১-০ গোলে জিতেছে শেখ রাসেল। এই ম্যাচের ফলে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে আবাহনীরও। বিদায়ঘণ্টা বাজল পুলিশের।
রক্ষণে পুলিশের কড়া পাহারা
ফেডারেশন কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আবাহনীকে রক্ষণের দৃঢ়তা দেখিয়েছিল পুলিশ। ম্যাচটি তারা হেরেছিল একমাত্র আত্মঘাতী গোলে। শেখ রাসেলের বিপক্ষেও শুরু থেকে রক্ষণ জমাট করে তোলে পুলিশ। এমফন উদোহ, চার্লস দিদিয়ের তাই কোটরবন্দী থাকলেন প্রথমার্ধে।
পঞ্চদশ মিনিটে শেখ রাসেলের উদোহর শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। ২৪তম মিনিটে দিদিয়ের বক্সে শট নেওয়ার সুযোগই পাননি রক্ষণের চ্যালেঞ্জে। জামাল ভূঁইয়ারা মাঝমাঠ থেকে বলের যোগান দিলেন বটে, কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়ালে শেখ রাসেল চিড় ধরাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও ‘বন্দী’ শেখ রাসেল
এগিয়ে যাওয়া গোলের জন্য এ অর্ধের শুরু থেকে মরিয়া হয়ে ওঠে শেখ রাসেল। ৪৯তম মিনিটে তিমুর তালিপভের ফ্রি কিক রাকিবুল হাসান তুষার আটকানোর পর মোহাম্মদ ইব্রাহিম ছুটে গিয়ে ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে হয়নি গোল। ৭০তম মিনিটে দিদিয়েরের দূরপাল্লার বুলেট গতির শটও আটকান তুষার।
তুষার বাঁধা পেরুলেন উচ্ছ্বাস
দুই গোলরক্ষকের সময় কাটল ভিন্নভাবে। শেখ রাসেলের পোস্টের নিচে অলস সময় কাটে আশরাফুল ইসলাম রানার। আর পুলিশের পোস্টে ব্যস্ত থাকেন তুষার। তার দূর্ভেদ্য দেয়ালে অবশেষে ফাটল ধরে ৭৭তম মিনিটে। উদোহর একটু ঝুলিয়ে নেওয়া ফ্রি কিকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন উচ্ছ্বাস। এগিয়ে যায় শেখ রাসেল।
ছিটকে গেল পুলিশ এফসি
এগিয়ে যাওয়া গোল আগলে রাখার পাশাপাশি ব্যবধান দ্বিগুণের চেষ্টায় আরও মনোযোগী হয় শেখ রাসেল। ৮৮তম মিনিটে দিদিয়েরের হেড এবং দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দীপক রায়ের হেডও আটকান তুষার। কিন্তু দিন শেষে পরাজিত তিনি।
তিন গ্রুপের মধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’তে দল চারটি করে। ‘সি’তেই কেবল তিনটি। সেরা আটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এ ম্যাচে পয়েন্ট পাওয়ার দরকার ছিল পুলিশ এফসির। আবাহনীর পর শেখ রাসেলের ঘাম ছুটিয়ে দেওয়ার স্বস্তি তাদের থাকল বটে, কিন্তু টানা দুই হারে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার হতাশা সঙ্গী হলো দলটির।