উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে ভারত নয়, আপাতত পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই দলের পুরো মনোযোগ বলে জানালেন আফিদা খন্দকার।
Published : 17 Oct 2024, 04:31 PM
বয়স মাত্র ১৭ বছর, এই প্রথম আফিদা খন্দকার খেলতে এসেছেন উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। সাফ জয়ী আঁখি খাতুনের শূন্যতা পূরণে এই উঠতি ডিফেন্ডারের উপর আস্থা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ পিটার জেমস বাটলার। আফিদাও দৃঢ় কণ্ঠে বললেন- আঁখির অনুপস্থিতির অভাব টের পেতে দেবেন না তিনি।
নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ২০ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাফের মুকুট ধরে রাখার অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। দলের রক্ষণে শিউলি আজিম, মাসুরা পারভীন ও শামসুন্নাহার সিনিয়রের সাথে আফিদাকে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ। আঁখির মতোই দীর্ঘদেহী এই ডিফেন্ডার ছোট ছোট উত্তরে জানিয়ে দিলেন এবারের সাফ নিয়ে ব্যাক্তিগত ও দলীয় লক্ষ্য।
প্রথমবারের মতো সাফে খেলার অপেক্ষায়, এবারের আসর নিয়ে ব্যক্তিগত লক্ষ্য…
আফিদা খন্দকার: দল জিতলেই আমি জিতেছি।
রক্ষণে নির্ভরতা ছিলেন আঁখি খাতুন, তিনি এবার নেই, সেই দায়িত্ব আপনার কাঁধে উঠতে পারে…
আফিদা খন্দকার: এটা অনেক বড় দায়িত্ব। গত সাফে আঁখি আপু যেভাবে এ দায়িত্ব পালন করেছে, আমি চেষ্টা করব আঁখি আপুর জায়গা যেন পূরণ করতে পারি।
আঁখির শূন্যতা পূরণের বিষয়টি আপনার জন্য কতটুকু চাপের?
আফিদা খন্দকার: আমি চাপ নেব না, আমার খেলা আমি খেলে যাবো, যতটুকু আমি আমার দলকে সাহায্য করতে পারি, অতটুকুই (চেষ্টা করব)।
ভারতের আক্রমণভাগের বড় তারকা বালাদেবি, তাকে নিয়ে কোনো ধারণা কোচ দিয়েছেন কিনা, কিংবা আপনারা কিছু জেনেছেন?
আফিদা খন্দকার: ভারতের সাথে আমাদের দ্বিতীয় ম্যাচ, প্রথম ম্যাচ আমাদের পাকিস্তানের বিপক্ষে, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার পরে আমরা ভারত ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করব। এখন আমরা পাকিস্তান নিয়ে বেশি চিন্তত।
বাংলাদেশ ও নেপালের কন্ডিশন আলাদা। এখানে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে কি?
আফিদা খন্দকার: বাংলাদেশ থেকে আমরা যখন আসি, তখন আমাদের ওখানে একটু গরম ছিল। এখানে ঠাণ্ডা, ঠাণ্ডা লাগছে। একটু সমস্যা হবে, তবে আমরা মানিয়ে নিয়ে খেলার চেষ্টা করব।
এই দল নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী আপনি?
আফিদা খন্দকার: আমাদের এই দলটা অনেকদিন একসাথে খেলছে, আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো, আমরা ওভাবেই খেলে যাবো।
আপনার ছোটবেলা নিয়ে একটু বলুন
আফিদা খন্দকার: ছোট বেলায় আমি যখন ক্লাস টুতে পড়ি, তখন আমার বাবা আমাদের দুই বোনকে খেলা শেখায়। আমি বিকেএসপিতে ভর্তি হই ২০১৬ সালে, আমার বড় বোনও বিকেএসপিতে ফুটবলে ট্রায়াল দিয়েছিল, কিন্তু সে টেকেনি, আমি টিকেছিলাম। তখন বিকেএসপি মাত্র ফুটবলে ছয় জনকে ভর্তি করেছিল, সেটা ছিল মেয়েদের ফুটবলের প্রথম ব্যাচ (বিকেএসপি)। আমি বিকেএসপিতে আছি, বড় বোন নেই!
বিকেএসপির হয়ে প্রথমবারই ২০১৬ সালে ভারতে সুব্রত কাপে খেলতে যাই। তখন আমি অনেক ছোট, মাত্র পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। আমি ওখানে খুব কান্নাকাটি করতাম, বাবা-মাকে ছাড়া থাকতে পারতাম না, তখন বাবা বড় বোনকে বিকেএসপিতে ভর্তি করার চিন্তা করেন। পরের বছর ২০১৭ সালে বোনকে বক্সিংয়ে ভর্তি করে। ২০১৮ সালে আমি যুব গেমস খেলেছি, জেএফএ কাপ খেলেছি টাঙ্গাইলের হয়ে। সেখান থেকে আমি জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি, এরপর আস্তে আস্তে এখানে এসেছি।
বিকেএসপির মজার ঘটনা
আফিদা খন্দকার: আমরা যখন সুব্রত কাপ খেলতে যাই, তখন খুব মজা হয়। ফুটবলে সবচেয়ে মজার স্মৃতি অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালে। কি একটা কাহিনী হয়ে গেল! ওরাও ১১টা গোল (টাইব্রেকারে), আমরাও ১১টা গোল দিলাম, এটাই সবচেয়ে মজার ছিল।