অবসর ভেঙে মাঠে ফিরে বার্সেলোনার হয়ে খেলতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন চলছে ৩৪ বছর বয়সী পোলিশ এই গোলকিপারকে নিয়ে।
Published : 26 Sep 2024, 01:07 PM
অবসর জীবন মাত্রই শুরু করেছেন ভয়চেক স্ট্যান্সনি। হঠাৎ তাকে নাড়িয়ে দিল নতুন রোমাঞ্চের দোলা। আবার ফুটবল মাঠে ফেরার হাতছানিতে পুরোনো তাগিদ নতুন করে জেগে উঠল তার মনে। অবসরের নিস্তরঙ্গ জীবন আপাতত থামিয়ে আবার মাঠের চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি তৈরি। ৩৪ বছর বয়সী গোলকিপার জানিয়ে দিলেন, বার্সেলোনার ডাক পেলে উপেক্ষা করার প্রশ্নই আসে না।
স্ট্যান্সনি হঠাৎ আলোচনার তুঙ্গে উঠে এসেছেন বার্সেলোনার গোলকিপার সঙ্কটের কারণে। গত রোববার লা লিগায় ভিয়ারেয়ালের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন দলের প্রথম পছন্দের গোলকিপার মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। পরে জানা যায়, লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে তার। জার্মান গোলকিপারের গোটা মৌসুমই শেষ হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় গোলকিপার ইনিয়াকি পেনিয়া আপাতত বার্সেলোনার মূল গোলকিপার। তবে টের স্টেগেন না থাকায় বিকল্প একজন গোলকিপারও তো লাগবে তাদের। ‘ফ্রি এজেন্ট’ কোনো গোলকিপারকে খুঁজছিল ক্লাবটি। সেই ভাবনাতেই স্ট্যান্সনির কথা মনে পড়ে তাদের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, স্ট্যান্সনির সঙ্গে আলোচনা চলছে বার্সেলোনার। সব ঠিকঠাক থাকলে মৌসুমের বাকি সময়টার জন্য কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি করবেন আর্সেনাল-ইউভেন্তুসের সাবেক এই গোলকিপার।
চুক্তি বা আলোচনার প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলেননি স্ট্যান্সনি। তবে দিয়ারিও স্পোর্তকে তিনি বলেছেন, বার্সেলোনার ডাক পেলে অবসর ভেঙে না ফেরার কারণ নেই।
“বার্সেলোনার ইতিহাসের প্রতি আমার প্রবল শ্রদ্ধা আছে। বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলির একটি এটি এবং টের স্টেগেনের চোটের পর তারা যে কঠিন অবস্থায় পড়েছে, তা বুঝতে পারছি। আমার মনে হয়, এটা (বার্সার প্রস্তাব) বিবেচনা না করাটা হবে অসম্মানজনক।”
প্রায় ১৫ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে স্পেনের ক্লাব ফুটবলে কখনও খেলেননি স্ট্যান্সনি। ২০০৯ সালে আর্সেনালে শুরু করেন তিনি ক্যারিয়ার। ধারে এক মৌসুম তিনি খেলেছেন ব্রেন্টফোর্ডে, দুই মৌসুমে রোমায়। পরে ২০১৭ সালে যোগ দেন ইউভেন্তুসে। তার ক্যারিয়ারের সেরা সময় কেটেছে এখানে।
আর্সেনালের হয়ে দুটি এফএ কাপ ও একটি কমিউনিটি শিল্ড জিতেছেন তিনি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগের ‘গোল্ডেন গ্লাভ’ অ্যাওয়ার্ড। ইউভেন্তুসের হয়ে হ্যাটট্রিক সেরি আ জয়ের পাশাপাশি জিতেছেন আরও পাঁচটি ট্রফি। লিগের সেরা গোলকিপার হয়েছেন এখানেও।
চুক্তির এক বছর বাকি থাকলেও পারস্পরিক সমঝোতায় গত মৌসুম শেষে তিনি ইউভেন্তুস ছেড়ে যান। পোল্যান্ডের হয়ে এবারের ইউরো খেলে গত মাসে তিনি বিদায় জানান পেশাদার ফুটবলকে। দেশের হয়ে তিনটি ইউরো ও দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি।
স্ট্যান্সনিকে নেওয়ার প্রসঙ্গে এখনও কিছু বলতে নারাজ বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। পেনিয়ার ওপর তার আস্থা অগাধ। তবে অভিজ্ঞ একজন বিকল্প গোলকিপার যে তাদের দরকার, সেটিও তিনি লুকাননি বুধবার লা লিগায় গেতাফের বিপক্ষে জয়ের পর।
“আমি শুধু ওই ফুটবলারদের নিয়েই কথা বলি, যারা আমার দলে আছে। ইনিয়াকি পেনিয়া এখন আমাদের এক নম্বর গোলকিপার এবং তাকে নিয়ে আমি খুশি। সে এটার যোগ্য। আমরা আমরা গোল হজম করিনি, এতে সবাই খুশি।”
“আমাদের ইনিয়াকি পেনিয়া আছে, যে ২৫ বছর বয়সী। বাকি গোলকিপাররা সবাই তরুণ ও অনভিজ্ঞ। তাই কিছু যদি হয়ে যায় (পেনিয়ার), আমাদের তখন অভিজ্ঞ কাউকে লাগবে। এজন্যই আলোচনা চলছে। দেখা যাক কী হয়।”যদিও ট্রান্সফার উইন্ডো এখন বন্ধ হয়ে গেছে, তবে লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, চোটের কারণে কেউ লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গেলে তার বদলি নেওয়া যায়।