২২ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে ফেইসবুক খুলে দেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় ফেইসবুকে জয়ের স্ট্যাটাস আসে।
তিনি লিখেছেন, “ফেইসবুক এখন আবারও বাংলাদেশে খুলে দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, জামায়াতি সন্ত্রাসীরা গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা উস্কে দেয়ার মাধ্যম হিসেবে একে ব্যবহার করে। যেজন্য যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ ও সাকার ফাঁসির আগে এটা বন্ধ করা হয়েছিল।
“গণহত্যাকারীদের পক্ষ হয়ে চালানো ব্যাপক আন্তর্জাতিক অপপ্রচারের মুখেও এটা শুধুই আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতার জন্যই স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদদের প্রতি সুবিচার করা সম্ভব হয়েছে।”
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গত ১৮ নভেম্বর আপিল বিভাগে খারিজ হওয়ার পরপরই বাংলাদেশে ফেইসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একই সময়ে বন্ধ করা হয় মোবাইল ফোনের অ্যাপ ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ। আর বিটিআরসির নির্দেশে এ কাজটি করতে গিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রায় দেড় ঘণ্টা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে বাংলাদেশ।
২২ নভেম্বর প্রথম প্রহরে মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফেইসবুক বন্ধ করার দিন ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ এই কষ্ট মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছিলেন, “দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থেই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে।”
আর বৃহস্পতিবার ফেইসবুক খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “জননিরাপত্তার স্বর্থে ফেইসবুক বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমার মনে হয় আপাতত সেই সমস্যা কেটে গেছে। সেজন্য ফেইসবুক খুলে দিতে সরকারের নির্দেশনা এসেছে।”