তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি (ডিএসএ) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্প যৌথভাবে তিন মাসব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে দেশের প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে সচেতন করবে।
মঙ্গলবার বিসিসি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়ালি এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ‘দুর্বার’ (www.durbar21.org) শীর্ষক একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।
এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিবন্ধনের মাধ্যমে সারা দেশে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার আওতাধীন ওয়ার্ড, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে দুজন করে অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেওয়া হবে, যারা গুজবের ভয়াবহতা এবং কীভাবে সত্য-মিথ্যা ও গুজব চেনা যায় সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবে। এই প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট পড়তে চাইলে দুর্বার-এ নিবন্ধন করে পড়া যাবে।
ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য এবং গুজবের ভিড়ে অনেক সময় আসল-নকল চেনা দায়। সামান্য বিবেক বুদ্ধি খাটিয়েই কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা এবং কোনটি গুজব তা আমরা সহজেই চিনতে পারি। এ ধরনের গুজব রটানো ও অপপ্রচার বন্ধে আজ থেকে শুরু হচ্ছে আইসিটি বিভাগের আসল চিনি ক্যাম্পেইন।”
গুজব ও মিথ্যা তথ্যের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, “দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করেই আসল চিনি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে যাতে দেশের তরুণ সমাজ তাদের মেধা, বুদ্ধি খাটিয়ে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটনা ও মিথ্যা প্রচার বন্ধ করতে পারে।”
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ‘বিল্ডিং ডিজিটাল লিটারেট নেশন’ শীর্ষক একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেন।
পলক বলেন, “দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৭ শতাংশে উন্নীত হলেও ডিজিটাল লিটারেসির অভাব রয়েছে। ডিজিটাল লিটারেসি ছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রচার ও গুজব রোধ করা যাবে না।”
সাড়ে চার কোটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী, যাদের ৯০ শতাংশ যুবক, তাদের মিথ্যা তথ্য প্রচার ও গুজব রোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।
ডিএসএ মহাপরিচালক ও এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, এলআইসিটি প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের কমিউনিকেশন ম্যানেজার শাকিল ফয়জুল্লাহ, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফ হাসান অপু।