বিদেশ থেকে স্ত্রীর পাঠানো টাকা দিয়ে শানবান্দা এলাকায় জমি কিনে একতলা বাড়িটি নির্মাণ করছিলেন বাবুল।
Published : 20 Oct 2023, 04:13 PM
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার পর নির্মাণাধীন ভবনের মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুক্রবার মানিকগঞ্জ সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. গোলাম আজাদ খান।
গ্রেপ্তার মো. বাবুল (৩৮) হরিরামপুর থানার দরিকান্দি এলাকার শেখ কাশেমের ছেলে। তিনি সৌদি আরব প্রবাসী রোকসানার (৪৫) স্বামী।
ছুটিতে দেশে আসা রোকসানা সিংগাইর থানার বায়রা-নয়াবাড়ি এলাকার ছইজুদ্দিনের মেয়ে। মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্মাণাধীন এক ভবনের মেঝের নিচ থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি আজাদ জানান, তিন বছর আগে বাবুলের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ের পরেই সৌদি আরব চলে যান রোকসানা। বিদেশ থেকে নিয়মিত দেশে স্বামীকে টাকা পাঠাতেন তিনি। সেই টাকা দিয়ে সদর উপজেলার শানবান্দা এলাকায় জমি কিনে একতলা বাড়ি নির্মাণ করছিলেন বাবুল।
গত ৬ অক্টোবর ছুটিতে দেশে আসেন রোকসানা। পরে সাভারের একটি ভাড়া বাসায় স্বামী বাবুলকে নিয়ে থাকেন। এরপর ১৩ অক্টোবর শানবান্দা গ্রামের ওই নির্মাণাধীন বাড়িতে আসেন রোকসানা-বাবুল দম্পতি।
বাবুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, “রাতে সেখানে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা রোকসানা ও বাবুলের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ভোর রাতের দিকে ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের রুমের মেঝেতে লাশ পুতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল।”
আজাদ আরও জানান, মঙ্গলবার প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা নির্মাণাধীন ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। গন্ধের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তারা মেঝের মাটি-বালু সরালে এক নারীর হাত বেরিয়ে আসে।
খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ের নারী হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের ভাই হাসপাতালে এসে রোকসানার পরিচয় নিশ্চিত করেন ও বাদী হয়ে মামলা করেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জ সদর থানায় এই প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর থানার ওসি আব্দুর রউফসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।