“প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের স্বার্থে হয়ত বলেছে প্রতিযোগিতার জন্য। কিন্তু তিনি বলেন নাই, নৌকা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী অন্য প্রার্থীর জন্য কাজ করতে হবে।”
Published : 06 Dec 2023, 03:07 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ভোটের লড়াইয়ের টিকেট না পেয়ে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে 'বিদ্রোহী প্রার্থী' মনে করেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, “নৌকার বাইরে যারা নির্বাচন করছে, আমার দৃষ্টিতে তারা অবশ্যই বিদ্রোহী প্রার্থী। আমি মনে করি, নেতাকর্মীদের দল বা নৌকার বাইরে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। যারা দলের আদর্শ মেনে চলে তাদের অবশ্যই নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।”
বুধবার সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এই নৌকাকে আমরা বলি, হক ভাসানীর নৌকা, বঙ্গবন্ধুর নৌকা, আওয়ামী লীগের নৌকা, শেখ হাসিনার নৌকা। তাই নৌকার বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “অর্থনীতির ক্ষেত্রে বৈষম্য ঘুচিয়ে মানুষের মধ্যে ধনী গরিবের যে পার্থক্য সেটিকে কমিয়ে নিয়ে আসা। কাজেই এটা আদর্শের কমিটমেন্ট।
“প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের স্বার্থে হয়ত বলেছে প্রতিযোগিতার জন্য। কিন্তু তিনি বলেন নাই, নৌকা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী অন্য প্রার্থীর জন্য কাজ করতে হবে।”
মন্ত্রী বলেন, “দল থেকে বহিষ্কার হওয়া একটি বিষয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, দলের আদর্শের প্রতি অটুট থেকে, অবিচল থেকে, কমিটেড থেকে আদর্শের জন্য কাজ করা।”
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সাম্প্রদায়িকতার ও গণতন্ত্রের সঙ্গে কোনো দিন আপস করেনি। আমরা চাই ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। একটি সুন্দর সুষ্ঠু আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে দল ও নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করা যায়। আমাদের সাফল্যের, অর্জনের ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক কীভাবে মানুষের মাঝে তুলে ধরব তা নিয়ে আলোচনা করব।”
উন্নয়নের বিষয়ে আব্দুল রাজ্জাক বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্যে, অঙ্গীকার ও লক্ষ্য তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। কৃষি, শিক্ষা ও সেবা প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে চাই।“
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আনছারী।