নারায়ণগঞ্জেও বার্ন ইউনিট চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের প্রতিটা বিভাগে ১০০ বেডের বার্ন ইউনিট হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রামেও একটা হচ্ছে৷ দ্রুত এসব কাজ আমি করছি৷”

যেসব আগুনে পোড়া রোগীদের ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হয় না, তাদের ‍সুবিধার জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

সামন্ত লাল বলেন, “আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি, সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা দেখেছি৷ একজন নারীর শুধুমাত্র সিজারিয়ান করতে ঢাকায় কেন যেতে হবে?

“প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য৷ আমি চেষ্টা করব যেন মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থাটা পৌঁছাতে পারে। রাজধানী কিংবা বিভাগগুলোতে মানুষ এসে ভিড় না করে।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, “বার্ন চিকিৎসার প্রথম ২৪ ঘণ্টা হচ্ছে গোল্ডেন আওয়ার। একটা রোগী যদি নারায়ণগঞ্জের এই সোনারগাঁয় গ্রামে পুড়ে যায় তাকে ঢাকায় নিতে নিতে….পট করে তো নিতে পারবে না। পোড়ে কিন্তু গরীব মানুষ; বড়লোক পোড়ে না।

“আমি জানি নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্প এলাকা, এখান থেকে বহু অ্যাক্সিডেন্টাল বার্ন আসে। তাই আমি চেষ্টা করব নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে স্বল্প আকারে বার্ন ইউনিট খোলা যায় কিনা এবং প্রথমে প্রাথমিকভাবে ওইখানে যারা চিকিৎসক আছে, তাদেরকে ঢাকায় এনে ট্রেনিং দিয়ে চিকিৎসক-নার্স দিয়ে সেখানে পাঠাব। তাহলে আমি মনে করি, প্রাথমিক যে চিকিৎসা সেটা পাবে।”

দেশের প্রতিটা বিভাগে ১০০ বেডের বার্ন ইউনিট হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রামেও একটা হচ্ছে৷ দ্রুত এসব করার কাজ আমি করছি৷”

চিকিৎসকের অবহেলায় কোন রোগীর মৃত্যু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে সামন্ত লাল আরও বলেন, “তবে মাথায় রাখতে হবে কারও মৃত্যু হলেই হাসপাতাল ভাঙচুর করাও উচিত না৷ কী কারণে রোগীর মৃত্যু হলো সেটিও তদন্তের ব্যাপার৷”

“তবে হ্যা, অনেক ক্লিনিক আছে যাদের লাইসেন্স নেই, অনুমতি নেই এবং যেগুলোর অবকাঠামো ঠিক নেই সেসব ক্লিনিক বন্ধ করতে হবে। তবে সেটা একদিনে সম্ভব নয়, আপনাদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন” যোগ করেন মন্ত্রী৷

করোনাভাইরাস সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বা বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস এখনও যায় নাই। তাই যারা বয়স্ক, যাদের অন্যান্য রোগ আছে তারা জনসমাগম বা ভিড় এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত মাস্ক পরিধান করবেন৷”

দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।”

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম ভুইয়া, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন ও ইউএনও দীপেন দেবনাথ এ সময় উপস্থিত ছিলেন৷