রাজবাড়ীতে নির্ধারিত কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং কয়েকজনকে আটক করে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বকুলতলায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাসভবন থেকে একটি মিছিল বের হয়। এ সময় মিছিলটি রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সামনে এলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এতে তাদের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি করে এবং বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে।
ওই সময় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শান্তি সমাবেশে চলছিল। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। পরে শান্তি সমাবেশ থেকে উঠে এসে লাঠি মিছিলে অংশ নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মিছিলের অগ্রভাগে ছিল লাঠি হাতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। মাঝখানে ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, হেদায়েত আলী সোহরাব, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু।
মিছিলটি শহরের পান্না চত্বরে ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসে।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রাজবাড়ী-১ সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, “শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপর হামলা করেছে। মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। এতে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।”
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, “কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা পার্টি অফিসে সমাবেশ করার জন্য রওনা হই। আমরা বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ হামলা চালায়।
“পরে পুলিশ এসে আমাদের লাঠিপেটা করে। এ সময় আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয় এবং অনেক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এ হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
হামলার বিষয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি শওকত হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগে চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। এখন পযর্ন্ত কতজন আটক বা পুলিশ সদস্য আহত আছে কিনা সেটা বলা যাচ্ছে না।”
এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়; কিন্তু কতগুলো গুলি ছোড়া হয়েছে সেটা এখানও জানা যায়নি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।