গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ২০, থামাতে কাঁদানে গ্যাস

“প্রথমে শ্রীরামকান্দি ও পাটগাতী গ্রামের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ খবর ওই দুই গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।”

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়; পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।

রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডে এ সংঘর্ষ হয় বলে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান জানান।

ঘটনার বর্ণনায় ওসি বলেন, “প্রথমে শ্রীরামকান্দি ও পাটগাতী গ্রামের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ খবর ওই দুই গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

“এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায় এবং বৃষ্টির মত ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।”

সংঘর্ষ চলাকালে টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম বাড়ি ও বাসস্ট্যান্ডের বেশ কয়েকটি দোকানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”

বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি খন্দকার আমিনুর।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে, স্বাভাবিক হয়ে আসে।