বাড়ির শয়নকক্ষের বিছানার ওপর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দরজা হালকাভাবে লাগানো বাড়িটিতে কেউ ছিল না।
Published : 17 Mar 2024, 11:42 AM
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় শ্বশুর বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার তিন বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন স্বজনরা।
শনিবার রাতে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের রমজান আলী মিস্ত্রি বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদীপ রায় পলাশ।
নিহত ইয়াসমিন আক্তার (২৫) ওমান প্রবাসী মেহেদী হাসানের স্ত্রী। মেহেদী ওই বাড়ির ফকির আহমদের ছেলে ও ইয়াসমিন সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছুট্টু মিয়ার মেয়ে।
ওসি পলাশ জানান, শনিবার রাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই বাড়ির শয়নকক্ষের বিছানার ওপর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দরজা হালকাভাবে লাগানো বাড়িটিতে কেউ ছিল না।
ইয়াসমিনের মা রোশনারা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ভাশুর ও ভাসুরের স্ত্রী নানাভাবে নির্যাতন করতো। এসব নিয়ে কয়েকবার সামাজিকভাবে বৈঠকও হয়েছে।
এসব বিরোধের জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়েকে ‘শ্বাসরোধ করে’ হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাবা ছুট্টু মিয়া বলেন, তার মেয়ের স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ওমান প্রবাসী। শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়মিত মেয়েকে নির্যাতন করতো। তারা পরিকল্পিতভাবে ইয়াসমিনকে হত্যা করেছে। পরে মরদেহ রেখে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের ছোট বোন ফাহিমা আক্তার বলেন, ঘটনার পর থেকে ইয়াসমিনের তিন বছর বয়সী ছেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে বোনকে হত্যার পর ছেলেকেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়ে গেছে।
ওসি সুদীপ রায় পলাশ আরও বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।