জোয়ারের পানি সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে বলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।
Published : 25 Oct 2022, 10:19 AM
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার রাতে ঝড়ের সময় ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয় স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে জোয়ারের পানি কমতে শুরু করেছে বলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইরফানুল হক চৌধুরী জানান।
তিনি বলেন, জোয়ারের সময় সাগর কিছুটা উত্তাল ছিল। শাহপরীর দ্বীপের বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে কয়েকটি গ্রামে এ সময় পানি ঢুকেছে। তবে ভাটা শুরু হলে বিপদ কেটে যায়। সেন্ট মার্টিনও এখন বিপদমুক্ত।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় পূর্ব পাড়া ও পশ্চিম পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। দ্বীপের সাড়ে ১০ হাজার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে ছিল।
“রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বীপের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছিল। তবে বাতাস কমে গেলে এবং ভাটার সময় আশঙ্কা কেটে যায়।”
শাহপরী দ্বীপের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন জানান, রাতে জোয়ারের সময় সাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে দ্বীপের বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। বিশেষ করে দক্ষিণ পাড়া, মাঝের পাড়া ও পশ্চিম পাড়া এলাকায় বেশি পানি ঢুকে পড়ে। তবে বাতাস কমে গেলে রাত এগারোটার দিকে আতঙ্ক কেটে যায়।
শাহ পরীর দ্বীপঘোলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ লালু বলেন, “এবারের মতো আগে কখনো দ্বীপের মানুষ এত আতঙ্কে ছিল না। জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এলাকার লোকজন আশপাশের উঁচু ভবন গুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বাতাসে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে যায়।”
সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, সাগরের জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে শাহপরীর দ্বীপে এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি ঢুকে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে শাহ পরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়া, ঘোলা পাড়া, ডাংগর পাড়া, মাঝের পাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার প্রায় ১৫০ শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়।
এসব এলাকার বাসিন্দাদের জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।