ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
ম্যাচ জিততে মাঠে ফুটবলারদের বাড়তি চেষ্টার কথা বললেন তুরস্ক কোচ ভিনসেনজো মন্তেল্লা।
Published : 03 Jul 2024, 10:57 AM
ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় নাম লিখিয়েছিল অস্ট্রিয়া। তবে তাদের আর এগোতে দিল না তুরস্ক। দারুণ জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে নাম লেখানোর পর কোচ ভিনসেনজো মন্তেল্লা বললেন, ফুটবলাররা হৃদয় দিয়ে খেলে প্রতিশোধ নিশ্চিত করেছেন।
লাইপজিগে মঙ্গলবার রাতে ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রায় ১৬ বছর পর কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে তুরস্ক। আক্রমণের বিচারে বেশ এগিয়ে থাকলেও তুরস্কের দৃঢ় রক্ষণ একবারের বেশি ভাঙতে পারেনি অস্ট্রিয়া।
নিজেদের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়ে অস্ট্রিয়াকে আটকে রাখেন তুরস্কের ফুটবলাররা। আর যার কাজ মূলত প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকানো, সেই মেরিহ দেমিরাল দুই অর্ধেই একটি করে গোল করে দলকে এনে দেন দারুণ এক জয়।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে তুরস্কের রক্ষণে বারবার হানা দিতে থাকে অস্ট্রিয়া। কিন্তু ৬৬ মিনিটে একটি গোল শোধ দেওয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি তারা। দলীয় নৈপূণ্যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তুর্কিরা।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে এটিকে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচ বলছেন। আর এই ম্যাচে জয় পেতে দলের ফুটবলারদের বাড়তি চেষ্টার কথা বলেন তুরস্ক কোচ মন্তেল্লা।
“কেউ হাল ছাড়েনি। প্রত্যেকে তাদের হৃদয় উজাড় করে কিছুটা বাড়তি দিয়েছে। প্রধান কোচের জন্য প্রায়ই এমন ম্যাচ থাকে, যেখানে আপনি শুধু তখনই জিততে পারবেন, যদি দলের সবাই নিজেদের ভেতর থেকে পুরোটা দেয়।”
“দলের মধ্যে সেই দৃঢ় বিশ্বাস, প্রত্যয়টা ছিল। আমি হয়তো সারা রাত ধরে বলতে পারি। তবে (মাঠে) এসব ব্যাপার দেখেছি। যা আমাকে খুবই গর্বিত করেছে।"
নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়েও গোলের চেষ্টা অব্যাহত রাখে অস্ট্রিয়া। জালের দেখা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল তারা। মগার্টনারের হেড দুর্দান্ত ক্ষীপ্রতায় ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন তুরস্কের গোলরক্ষক ম্যার্ট গিনক।
এতে নিশ্চিত হয় একটি প্রতিশোধ। গত মার্চে প্রীতি ম্যাচে তুরস্ককে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় অস্ট্রিয়া। এবার ইউরোর মতো টুর্নামেন্টে ম্যাচ জিততে পেরে তাই তৃপ্ত তুরস্ক কোচ।
“আমার ক্যারিয়ারে বাজে একটি দাগ সেটি (৬-১ হার)। আমি এই দলটির (অস্ট্রিয়া) অপেক্ষায় ছিলাম, সেই দায়টা পিঠ থেকে নামানোর জন্য।”
“অস্ট্রিয়া, তাদের কোচ, পরিকল্পনা, কৌশলকে সম্মান করি আমি। তবে ফুটবলারদের মতো আমরা কোচরাও একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। আর আমার মধ্যে লড়াইয়ের সেই তেজটা ছিল। কারণ আমি ওই ফলটা বদলাতে চাচ্ছিলাম। সেটি হয়তো প্রীতি ম্যাচ ছিল। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রীতি ম্যাচ বলতে কিছু নেই।"