শরীয়তপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে মারধর, যুবলীগ নেতাসহ ৪ জন কারাগারে

এ ঘটনার পর রাতেই প্রকৌশলী বাদি হয়ে মামলা করেন।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2022, 11:16 AM
Updated : 3 Oct 2022, 11:16 AM

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।

ভেদরগঞ্জ থানার ওসি বাহালুল খান বাহার জানান, রোববার দুপুরে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শমেশ আলীকে মারধরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আহত শমেশ আলী ভেদরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শরীয়তপুর জনস্বাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীকে তার অফিসে ঢুকে ঠিকাদার ও তার লোকজন মারধর করেছে। রাতেই এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

আসামিরা হলেন- ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ শরীয়তপুর পৌরসভা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আলমগীর মাদবর (রিপন), এস এম আলমগীর হোসেন, চুন্নু ব্যাপারী ও শফিকুল ইসলাম।

ঘটনার বর্ণনায় শমেশ আলী জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের আওতায় ১৩০টি টিউবওয়েল স্থাপনের দায়িত্ব পায় মেসার্স তাসলিমা এন্টারপ্রাইজ। কিছুদিন আগে সেই কাজ শেষ হয়েছে। তার বিল আনার জন্য রোববার বিকালে তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে যান। এ সময় ঠিকাদারদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।

তিনি বলেন, “তাসলিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার আলমগীর হোসেন তাদের যাবতীয় টাকা তুলে নিয়ে গেছেন। কিন্তু অবৈধভাবে মেজারমেন্ট বুক চেয়েছিলেন। আমি দিতে দেরি করায় আলমগীরের নেতৃত্বে চুন্নু ব্যাপারীসহ চারজন মিলে আমাকে ঘুসি, লাথি, থাপ্পড় ও জুতা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।”

এ ঘটনার পর রাতেই তিনি ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান এ প্রকৌশলী।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, “৬০ হাজার টাকা ঘুষের জন্য প্রকৌশলী শমেশ আলী দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রতিষ্ঠানের মেজারমেন্ট বুক (এমবি) আটকিয়ে রেখেছে। আমি ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও পরে ধস্তাধস্তি হয়। এখন তিনি নিজে সুবিধা নেওয়ার জন্য মিথ্যা মারধরের অভিযোগ করছে।”

এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “উপজেলা ক্যাম্পাসে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা খুবই দুঃখজনক।”