ময়মনসিংহে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন নিয়ে হামলায় প্রৌঢ় নিহত

পিডিবির আবাসিক প্রকৌশলী বলেন, ঝামেলা না মেটা পর্যন্ত খুঁটি স্থাপনে ঠিকাদারকে নিষেধ করা হয়েছিল।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2023, 05:26 PM
Updated : 19 Feb 2023, 05:26 PM

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক প্রৌঢ় নিহত হয়েছেন।

রোববার বেলা ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে নিহতের বড় ভাই এনামুল হক জানান।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের পাঁচাশি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে গৌরীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান মজুমদার জানান।

এ ঘটনায় আহত তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহত সাজ্জাদুল হক (৫৫) ওই গ্রামের তাহির উদ্দিনের ছেলে।

এর জেরে প্রতিপক্ষের অন্তত ২০টি বাড়িঘরে ভাংচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। 

থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান মজুমদার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে; পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

নিহতের ভাই এনামুল বলেন, “জমিতে বোরো আবাদে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের জন্য একটি ট্রান্সফরমারের আবেদন করেছিলাম। সেই অনুযায়ী পিডিবি ট্রান্সফরমারের অনুমোদন দেয়। কিন্তু একটা পক্ষ এতে বাধা দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল।” 

তিনি আরও বলেন, “রোববার শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করেন পিডিবির ঠিকাদার। এ সময় ওই পক্ষটি খুঁটি স্থাপনে ঠিকাদারকে বাধা দেয়। এ সময় আমার ভাই-ভাতিজাসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিপক্ষের লোকেরা দা-বল্লম নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

“হামলাকারীরা আমাদের সবাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহত ৫/৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ৩টার দিকে সাজ্জাদুল হক মারা যান।”

রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল আমিন জনি বলেন, “বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তার পাশে সরকারি জায়গায় স্থাপন করার জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তারপরও একটি পক্ষ বাধা দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে। বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু এতে কাজ হয়নি।”

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পিডিবির আবাসিক প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মামুন বলেন, “ওই খুঁটি স্থাপন নিয়ে আগে থেকেই স্থানীয় দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা ছিল। ঠিকাদার হারুন অর রশিদকে ঝামেলা না মেটা পর্যন্ত খুঁটি স্থাপনে নিষেধ করা হয়েছিল। এরচে বেশি কিছু আমার জানা নেই।”

ঠিকাদার হারুন অর রশিদ মোবাইল ফোনে বলেন, “দুই পক্ষের মারামারির আগেই আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে এসেছিলাম।”

ওই জায়গায় খুঁটি স্থাপনে অনুমোদন ছিল কিনা জানতে চাইলে পরে কথা হবে বলে তিনি ফোন কল কেটে দেন। পরে অনেকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।