গোবিন্দগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেটের মামলায় কারাগারে স্বামী

এর আগেও স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নীলফামারী সদর থানায় মামলা করেছিলেন পপি। সেটি আদালতে বিচারাধীন।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2022, 01:29 PM
Updated : 26 Nov 2022, 01:29 PM

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক ম্যাজিস্ট্রেটের করা মামলায় তার স্বামীকে  কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার বিকালে গোবিন্দগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই প্রলয় কুমার বর্মা। 

শুক্রবার রাতে স্বামী মোহাইমেনুল ইসলামের (৩৩) বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার অভিযোগে মামলাটি করেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত পপি খাতুন (৩১)। 

পপি খাতুন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে। মোহাইমেনুল ইসলাম একই গ্রামের মাকসুদুর রহমানের ছেলে। 

এজাহারের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও এসআই প্রলয় জানান, পপি খাতুনের সঙ্গে ২০০৪ সালে মোহাইমেনুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের দুটি মেয়ে আছে। 

মোহাইমেনুল তার স্ত্রী পপিকে আগেও শারীরিক নির্যাতন করেছেন। তা নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নীলফামারী সদর থানায় মামলা করেন পপি। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে। 

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি সোহরাবের বাড়িতে আসেন পপি। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে সেখানে হাজির হয়ে স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন মোহাইমেনুল। 

কিন্তু পপি তা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করে এবং গলা চেপে ধরে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেন মোহাইমেনুল। এতে পপি মারাত্মকভাবে আহত হন, তার বাম কানের পর্দা ফেটে যায়। 

এসময় মোহাইমেনুল পপির ব্যাগে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি চেক বই নিয়ে যান। 

পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। 

এসআই প্রলয় জানান, এ ঘটনায় মোহাইমেনুলকে শনিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।