বুধবার ফেইসবুক ও মেসেঞ্জারে এ দুই শিক্ষকের কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
Published : 07 Jul 2023, 01:17 AM
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এক শিক্ষিকার ‘ব্যক্তিগত’ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহম্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সেই সঙ্গে এ দুই শিক্ষককে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
বুধবার ফেইসবুক ও মেসেঞ্জারে এ দুই শিক্ষকের কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় শেখর আহমেদ নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক সদস্যের একটি কমিটি এবং বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল মামুনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে তারা পাননি।অফিস ও শ্রেণিকক্ষ ছিল তালাবন্ধ।
“স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন প্রধান শিক্ষক এবং ওই শিক্ষিকার বরখাস্তের দাবিতে। ভিডিওতে তাদের অনৈতিক কাজ স্পষ্ট, সেক্ষেত্রে তাদের প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা প্রয়োজন। পরে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম জাকির হোসেন বেলা ১১টার দিকে ওই স্কুলে যান। তখন এলাকাবাসী তার কাছেও দুই শিক্ষককে বরখাস্তের দাবি তোলেন।
এ দাবিতে তারা প্রায় ২ ঘণ্টা তদন্ত কর্মকর্তার গাড়ি অবরোধ করে রাখেন। বেলা ১২টার দিকে বদলগাছীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে গেলে একইভাবে তার গাড়ি আটকে রাখে বিক্ষোভকারীরা।
পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ জ ম শফি মাহমুদ দুই শিক্ষককে বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগকারী শেখর আহমেদ বলেন, “আমি এলাকার একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এই ঘটনার ভিডিও দেখে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি ওই দুই শিক্ষকের অনৈতিক কাজের যথাযথ ব্যবস্থা চাই।”
এলাকাবাসীকে জেলা প্রশাসনের তদন্তের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়ে এডিসি এস এম জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।