ঘূর্ণিঝড় মোখা: ভোলায় নদী পাড়ের মানুষ সরাতে মাইকিং, প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্র

সকাল থেকে ভোলার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন; উপকূলবর্তী চরফ্যাশন ও মনপুরায় বৃষ্টি।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2023, 11:48 AM
Updated : 13 May 2023, 11:48 AM

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব মোকাবেলায় ভোলা জেলার সাত উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ছয়টি মুজিব কিল্লা।

একই সঙ্গে আটটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, দুর্গত মানুষকে সেবা দিতে তৈরি রয়েছে ৯৩টি মেডিকেল টিম। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ১৩ হাজার ৬০০ সদস্য ও রেড ক্রিসেন্টের প্রায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় ১১ জেলার জন্য ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে ভোলার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। নদীতে স্বাভাবিক মাত্রার জোয়ার রয়েছে। সকালে বঙ্গোপসাগর নিকটবর্তী চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় বৃষ্টি হয়েছে। অন্য কোথাও বৃষ্টি না হলেও গোটা ভোলায় আবহাওয়া অনেকটাই গুমোট হয়ে আছে।

নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। ঝড়ের শঙ্কায় ভোলা থেকে সব রুটে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

মোখা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন তিন স্তরের প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশসক বলেন, “আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য দুর্যোগের আগে, দুর্যোগকালিন ও দুর্যোগ পরবর্তী তিন স্তরের প্রস্তুতি নিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বর্তমানে জেলা প্রশাসনের কাছে ৮ লাখ টাকা, ৩৫০ মেট্রিকটন চাল, ১৬৪ বান্ডিল টিন ও ঘর নির্মাণের জন্য ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা রয়েছে।”

এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণের জন্য ১৫ লাখ টাকা, ৫০০ বান্ডিল টিন ও ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এরই মধ্যে সাত উপজেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মোখার ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ১৭০ কিলোমিটার গতির ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যার দিকেই কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় এ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া কার্যালয়।

এই অবস্থায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল থাকছে।

পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বরের পরিবর্তে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরের জন্য থাকছে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত।