শেরপুরে দিনের বেলায় গরম অনুভূত হলেও রাতে গায়ে জড়াতে হচ্ছে কাঁথা ও কম্বল।
Published : 31 Oct 2022, 10:00 AM
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে শেরপুরে। হিমেল হাওয়ার পরশে শীতও অনুভূত হচ্ছে একটু একটু।
সোমবার ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সামান্য দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এ সময় জেলার সড়ক ও মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহনসহ সব ধরনের গাড়ি হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে ধীর গতিতে।
বর্তমানে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে দিনের বেলায় গরম অনুভূত হলেও রাতে কাঁথা ও কম্বল জড়াতে হচ্ছে গায়ে। আর ভোরের ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার সিগ্ধতার মাখামাখিতে এখন এক অন্য রকম প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে এ জনপদে।
সবুজ ধানের ক্ষেতে এবং পত্র পল্লবে মুক্তোদানার মতো শিশির ও হেমন্তকালে কুয়াশা উপভোগ করে অনেকেই যেমন উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন, তেমনি বিস্মিতও হচ্ছেন আবহাওয়ার বৈচিত্র্যতায়।
কুয়াশার চাদর জড়িয়ে শহরের উপকন্ঠে শেরীবিজ্র এলাকায় ভোরে হাঁটছিলেন সরকারি কর্মকর্তা ইমামুল হক রবিন। শীতের আমেজ কেমন উপভোগ করছেন জানতে চাইলে বলেন, “কার্তিক মাসের কুয়াশাটা এবার একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে। কুয়াশা এত ঘন যে, দশ হাত দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। আমার মনে হয় এ জন্যেই রাতের বেলা শীত শীত লাগে। ভোর রাতে পাতলা কাঁথা ও কম্বল গায়ে জড়াতে হয়। কিন্তু দুপুরে আবার গরম লাগে।”
নামা শেরীরচর গ্রামের কৃষক ইন্তাজ আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ার পর থেকেই রাতে শীতশীত লাগছে। আর সকালে কুয়াশাও পড়তাছে।
পূর্বশেরী এলাকার শ্রমিক মমতাজ মিয়া বলেন, “কার্তিক মাসের মধ্যে যে কুয়াশাডা পড়ছে, এমন আর কোনো বছর পড়ে নাই। এই কুয়াশার জন্যে দূরের কোন জিনিসও দেহা যাইতাছে না।”
কার্তিক মাসের কুয়শা এর আগে দেখেননি জানিয়ে ব্যবসায়ী সুশীল চন্দ্র দে বলেন, “রাতে অনেক বেশি শিশির পড়ে; ঘরের চালা ও গাছপালা ভিজে যায়।”