পাবনার এমপি ফিরোজের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার বিষোদগার

সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও দুলাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এই বিষোদগার করেন।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2022, 04:20 PM
Updated : 17 August 2022, 04:20 PM

পাবনা-২ আসনের (সুজানগর-বেড়া) ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন একই দলের নেতা সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান।

সিরাজুল সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং উপজেলার দুলাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

তার বক্তব্যকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও দলের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর।

গত ১৫ অগাস্ট বিকেলে উপজেলার চিনাখরা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলাম শাজাহান বক্তব্য দেন, যা তিনি ফেইসবুকে লাইভ প্রচারও করেন।

শাজাহান বলেন, “সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর দুলাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শোকসভায় যোগ না দিয়ে বিদ্রোহী নেতাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তিনি এলাকায় বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছেন। তিনি একজন কুলাঙ্গার। এমন কুলাঙ্গারকে আগামীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না দিতে দলীয় সভানেত্রীর প্রতি দাবি জানাই।”

ফেইসবুকে বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান শাজাহান তার বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুজানগরের দশটি ইউনিয়নেই নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহীদের জন্য কাজ করেছেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই।”

তার এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুজানগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন।

শাহীন বলেন, “চেয়ারম্যান শাজাহান একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ। তিনি স্কুল-কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য, করোনাভাইরাসের সময় সরকারি সহয়তা ও ভিজিডির অর্থ আত্মসাৎ করে ধরা পড়েছেন।

“সংসদ সদস্য কবীর টিআর-কাবিখায় অসৎ লোকের হাতে অর্থ তুলে না দিয়ে নিজে তদারক করেন। এ কারণে তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের বিরাগভাজন হয়েছেন।”

চেয়ারম্যান শাজাহানের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর বলেন, “আমি সব সময় দলের ঐক্য ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আগামী নির্বাচন করতে হবে।

“এ সময় শাজাহান চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত ও আপত্তিকর হলেও আমি এর প্রতি-উত্তর দিতে চাই না। আমি আমার নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধরতে বলেছি। টিআর-কাবিখার কাজে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দল ও নেত্রীর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমি কঠোর হয়েছি। আশা করছি যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।”