গত ১৪ জুন রাতে অস্ত্রধারীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
Published : 13 Dec 2023, 11:59 AM
জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনশন করেছে সাংবাদিকের পরিবার।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই অনশন কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সাংবাদিক নাদিমের বৃদ্ধা মা আলেয়া বেগমের আহাজারিতে স্তব্ধ হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর।
হত্যা মামলার বাদী ও সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগমসহ পরিবারের অভিযোগ, চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কেউ প্রকাশ্য ঘুরছে আবার কেউ জামিনে বের হয়ে সাংবাদিক নাদিমের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।
মামলার পলাতক আসামি ফাহীম ফয়সাল রিফাতসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তার এবং বর্তমানে সিআইডিতে থাকা মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তরেরও দাবি পরিবারটির।
এ ছাড়া বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী অভিযোগ করেন- মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিথ্যাচার করেছেন।
অনশন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নাদিমের বাবা মো. আব্দুল করিম, স্ত্রী মনিরা বেগম, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাংবাদিক মোস্তফা মনজু, কাফি পারভেজ ও আনোয়ার হোসেন মিন্টু।
পরে দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল হক মৃদুল সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের সদস্যদের স্বান্তনা এবং তাদের দাবি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর আশ্বাস দিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।
গত ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ পাটহাটি এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এই ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় এ পর্যন্ত বাবুসহ ১৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেসবুক লিংক]