“পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী তাদের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে।”
Published : 25 Apr 2024, 04:37 PM
সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা ওই তিন কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, “আমরা উপাচার্য স্যারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সমাধানের জন্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি।
“তাই পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী প্রক্টর, ট্রেজারার ও উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে।”
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম অনলাইনে চললেও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। আগামী ২ মে থেকে সশরীরে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
শিক্ষক সমিতির নেতারা জানান, বিশ্ববিদ্যায় উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে শিক্ষকদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদদদানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, ঢাকায় গেস্টহাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য উন্মুক্ত করা, পদোন্নতির জন্য আবেদন করা শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
গত ২৩ এপ্রিল শিক্ষক সমিতির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর সাত দফা দাবি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। দাবি বাস্তবায়নের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষক সমিতির একাধিক নেতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের দপ্তরে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে এ সময় ওই তিন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, গত ২৩ এপ্রিল ৭ দফা দাবি নিয়ে আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের বেঁধে দেওয়া দাবি না মানায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা উপাচার্যসহ তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।
“আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তালা খুলবো না।”
এ প্রসঙ্গে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।