ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বামীকে হত্যার ১৫ বছর পর স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মতিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ইসমাইল হোসেন জানান।
দণ্ডপ্রাপ্ত সর্জিনা খাতুন উপজেলার উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের হারুন-অর-রশিদ ওরফে হারুর স্ত্রী।
মামলার বরাতে পিপি ইসমাইল জানান, ২০০৮ সালের ২৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে হারুন নিজ ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। তবে রাতের খাবারের সঙ্গে হুরুনকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান সর্জিনা।
“পরে ঘুমন্ত অবস্থায় হারুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সর্জিনা ও তার প্রেমিক লিটন হোসেন।”
এ ঘটনার পরদিন হারুনের ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় সর্জিনা ও লিটনকে আসামি করে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সর্জিনা ও লিটনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই তৌহিদুর রহমান।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সর্জিনাকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস কারাবাসে থাকতে হবে।
মামলার অপর আসামি লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন বলে জানান পিপি।