রাসেলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, মাদক, মারামারি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫টির বেশি মামলা আছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
Published : 16 Aug 2023, 03:45 PM
কক্সবাজারে উখিয়া-টেকনাফ কেন্দ্রিক ডাকাতি, অপহরণ, মানবপাচার, মাদক পাচার, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে জড়িত ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’র প্রধানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা বটতলীর গহিন পাহাড়ি এলাকায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত চালানো অভিযানে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ইয়াবাও উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকার মৃত শেখ হাবিবুর রহমানের ছেলে শেখ রাসেল (৩২), একই এলাকার আবদুর শরিফের ছেলে নুরুল হাকিম (৪০), টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে মো. ছলিম (৩৮), কবির আহমদের ছেলে নুরুল আমিন (৪২), নুরুল আমিনের ছেলে কায়সার উদ্দিন (২০), মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. সাদেক হোসেন (৩০) এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জর পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সাহাব উদ্দিন (২৫)।
অভিযানস্থল থেকে দেশীয় ছয়টি লম্বা বন্দুক, দু’টি কাটা বন্দুক, ১২টি কার্তুজ, রাইফেলের গুলি সাতটি ও একটি গুলির খোসা, একটি রামদা, ২০ হাজার ইয়াবা এবং চারটি মোবাইল ফোনসহ অপরাধ সংঘটনের কাজে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর সাদিকুল জানান, রাসেল সশস্ত্র একটি বাহিনী গঠন করে নানা অপরাধের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। এ বাহিনীর সদস্যরা র্যাব, পুলিশ, বনবিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা ও গুলিবর্ষণও করেছিল।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রাসেলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, মাদক, মারামারি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫টির বেশি, মো. ছলিমের বিরুদ্ধে তিনটি, নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে পাঁচটি, সাদেক হোসেনের বিরুদ্ধে ছয়টি, সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনটি এবং নুরুল হাকিমের বিরুদ্ধে তিনটির বেশি মামলা রয়েছে।
রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার র্যাব গহিন পাহাড়ি এলাকায় তাদের আস্তানায় অভিযান চালায়। এ সময় সাত জনকে গ্রেপ্তার করে অস্ত্র, ইয়াবাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযানে তার আস্তানা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করে উখিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।