সিরাজগঞ্জে বিএনপি সভাপতির গাড়িতে হামলা, ভাংচুর

হামলার কথা অস্বীকার করে এই বিষয়ে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2022, 09:57 AM
Updated : 18 Nov 2022, 09:57 AM

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদকে বহনকারী মাইক্রোবাস ভাংচুর এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার জামতৈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

তবে হামলার কথা অস্বীকার করে এই বিষয়ে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য শুক্রবার সকালে কামারখন্দ উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষ করে নেতারা গাড়িতে উঠার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিছন থেকে হামলা চালায়। এতে দুটি মাইক্রোবাসের সামনে ও পিছনের অংশের গ্লাস ভেঙ্গে গেছে। 

তিনি জানান, হামলার সময় মাইক্রোবাসে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি সৈয়দা আশরাফি পাপিয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু আহত হলেও তারা প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হন। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের শাস্তি দাবি করেছেন বিএনপির এই নেতা।

এদিকে হামলার কথা অস্বীকার করে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে বিএনপি কর্মীরা নিজেরাই নেতাদের বহনকারী মাইক্রোবাস ভাংচুর করেছে। 

“ঘটনার সময় দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদেরও ধাওয়া করেছিল তারা। ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেউ দায়ী নয়।”   

সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, এ ঘটনার বিষয়ে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। 

এ বিষয়ে কামারখন্দ থানার ওসি নুরনবী প্রধান জানান, বিএনপি নেতাদের বহনকারী মাইক্রোবাস ভাংচুরের ঘটনার পর উভয় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। 

এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান ওসি। 

তবে কামারখন্দের সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আদনান মুস্তাফিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমাবেশ শেষে যাওয়ার সময় জামতৈল স্টেশন এলাকায় দোকানপাট ও মোটরসাইকেল ভাংচুর শুরু করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ ঘটনায় আমিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি।”