অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গেও কথা বলতে চান দুদক কর্মকর্তারা।
Published : 05 Sep 2022, 11:23 AM
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে নগর ভবনসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছেন দুদক কর্মকর্তারা।
রোববার তারা গাজীপুর সিটির নগর ভবন, কোনাবাড়ির আঞ্চলিক কার্যালয়, ব্যাংক ও দুটি পোশাক কারখানায় যান এবং নথিপত্র সংগ্রহের পাশাপাশি ওই সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবরকে প্রধান করে গঠিত এই অনুসন্ধান দলের অপর সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।
আলী আকবর বলেন, “এসব অফিস থেকে কিছু নথির ফটোকপি সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বাকি ডকুমেন্টস সংশ্লিস্ট অফিসগুলোকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
“আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ অনুসন্ধান করব। অনুসন্ধানে অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ মিললে দুদকের নিয়ম ও আইন অনুয়ায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।“
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীরকে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ওই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলাও হয়।
দল থেকে বহিষ্কারের এক সপ্তাহের মাথায় ২৫ নভেম্বর জাহাঙ্গীরকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়লে অনুসন্ধানের ঘোষণা দেয় দুদক।
কমিশন বলছে, জাহাঙ্গীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ‘কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ’ করে সিটি করপোরেশনের নামে ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ‘লেনদেন করেছেন’ বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওইসব ভুয়া অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিটি করপোরেশনের নামে কয়েক কোটি টাকা জমা এবং উত্তোলন করে জাহাঙ্গীর আলম ‘আত্মসাৎ করেছেন’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে।
দুদকের অনুসন্ধান দলের সদস্য সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান বলেন, “আমরা সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। সিটির উন্নয়ন খাতসহ বিভিন্ন কাজের অনিয়ম অনুসন্ধান করছি।
“তবে সাবেক ওই মেয়রের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। দিনক্ষণ নির্ধারণ করে তাকেও নোটিস দিয়ে দুদক কার্যালয়ে ডাকা হবে এবং তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।”
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মজিবুর রহমান কাজল জানান, রোববার দুদক কর্মকর্তারা সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আকবর হোসেন, হিসাব রক্ষক গোলাম কিবরিয়া, কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
“তারা আমাদের কাছে কিছু ডকুমেন্টের ফটোকপি চেয়েছেন। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব ডকুমেন্টের কপি জামা দিতে বলেছেন।“