সৈকতের লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলন শেষে বিদায় অঞ্জলি চলে বিকাল পর্যন্ত।
Published : 05 Oct 2022, 10:18 PM
কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিজয়ায় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে পুণ্যার্থীর উচ্ছ্বসিত সমাগমে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে কিছু সময়ের জন্য।
চারদিনের পূজা শেষে দেবী দুর্গার বিসর্জন ছিল বুধবার। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঢাক ও কাসরের তালে মুখরিত হয়ে ওঠে সৈকতের পড়ন্ত বিকাল। পশ্চিম আকাশে সূর্যের লাল আবহে পানিতে ভাসিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে।
বিজয়ার আনন্দের পাশাপাশি পূজাশেষের বিষাদও ভর করে ভক্তদের মনে।
সৈকতের লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলন শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৩টায়। বালিতে দাঁড়িয়ে ভক্তদের বিদায় অঞ্জলি প্রদান চলে বিকাল ৫টার পর পর্যন্ত।
এর আগে বিকাল ৩টা থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে একে একে প্রতিমা বোঝাই ট্রাক আসতে থাকে।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর জানান, কক্সবাজারে এবার প্রতিমা পূজা ছিল ১৪৮টি; যার মধ্যে ১১০টি মণ্ডপের প্রতিমা সৈকতের লাবনী পয়েন্টে আনা হয়েছিল। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে আনা হয় আরও অন্তত ৪০টি প্রতিমা। ফলে দেড় শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানটি দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ায় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ বলেন, সৈকতের প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে আগত পর্যটকসহ দুই লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে; যেখানে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি নতুন করে সম্প্রীতির বন্ধন ঘোষণা করেছে।
প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্প্রীতির রাষ্ট্র – এটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও প্রমাণিত হয়েছে। এই উন্নয়নশীল বাংলাদেশে একটা সময় সম্প্রদায়িকতার যারা বীজ বুনে অপতৎপরতা চালিয়েছিল তারা চিহ্নিত হয়েছে। এদের বয়কট করে জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ।
বিজয়া সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে একে একে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জন ঘিরে সৈকত ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার ছিল।